সংক্ষিপ্ত
১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতীয় দল প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে ভারত।
২৮ বছরের খরা কাটিয়ে ২০১১ সালের ২ এপ্রিল দ্বিতীয়বার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। কপিল দেবের পর ফের ভারতকে ওডিআই ক্রিকেটে সেরার আসনে বসান মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওভার-বাউন্ডারি মেরে ধোনির ব্যাট ঘোরানো আর যুবরাজ সিংয়ের পিচে হাঁটু গেড়ে বসে পড়া ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। সেদিনের পর ১২ বছর কেটে গিয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর, হরভজন সিংরা আজও সেই সুখস্মৃতিতে আচ্ছন্ন। বিশ্বকাপ জয়ের এক যুগ পর রবিবার সচিন ট্যুইট করেছেন, ‘১২ বছর আগে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত। আপনারা সেদিন কোথায় ছিলেন আর কীভাবে সেই জয় উদযাপন করেছিলেন?’
২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া যুবরাজ সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও অপরাজেয় ছিলাম। ফিরে দেখা ১২ বছর আগের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়।’ যুবরাজের সতীর্থ হরভজন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, 'স্বপ্ন যখন বাস্তবে পরিণত হয়েছিল। ২ এপ্রিল ২০১১ বিশেষ একটি দিন।' বিশ্বকাপ ফাইনালে ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা গৌতম গম্ভীর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'জয় হিন্দ'। বীরেন্দ্র সেহবাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘১২ বছর আগে সারা জীবনের স্মৃতি তৈরি হয়ে যায়। সেটা আমাদের জীবনের সেরা সময় ছিল। আমরা যেভাবে খেলেছিলাম তার ফল পেয়েছিলাম। ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জিতেছিল।’ সুরেশ রায়না সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘১২ বছর আগে আজকের দিনে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম আর ক্রিকেটের ইতিহাসে আমাদের নাম খোদাই করে রেখেছিলাম। সারা দেশকে গর্বিত করেছিলাম আমরা।’
বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহেলা জয়বর্ধনে। ৪৮ রান করেন সাঙ্গাকারা। ৩৩ রান করেন তিলকরত্নে দিলশন। ৩২ রান করেন নুয়ান কুলশেখরা। ৯ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা। ২১ রান করেন থিলন সমরবীরা। ভারতের হয়ে ২ উইকেট করে নেন যুবরাজ ও জাহির খান। ১ উইকেট নেন হরভজন।
রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই সেহবাগের উইকেট হারায় ভারত। সচিন করেন ১৮ রান। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা গম্ভীর করেন ৯৭ রান। ৪ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৫ রান করেন বিরাট কোহলি। ৫ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন যুবরাজ।
আরও পড়ুন-
প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটার সেলিম দুরানি, ভারতীয় ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের উত্থানে বড় ভূমিকা ছিল, সেলিম দুরানির প্রতি শ্রদ্ধা মোদীর