সংক্ষিপ্ত
২০১১ সালে ভারতীয় দল দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১২ বছর পর ফের দেশের মাটিতে হচ্ছে ওডিআই বিশ্বকাপ। এবারও ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
৫ অক্টোবর শুরু হচ্ছে এবারের ওডিআই বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই খেলতে নামছে ভারতীয় দল। ১২ বছর পর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা ফের ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবেন বলে আশাবাদী ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগী হিসেবে আমি চাই ভারতীয় দল ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলুক। ভারতীয় দলের কাছে এবার বড় সুযোগ আছে। আমরা এবার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। পরিবেশ আমাদের পক্ষে। ভারতীয় দল যদি ভালো পারফরম্যান্স দেখায়, তাহলে আমরা ফের বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পাব। আমরা সবাই সেটা চাই।’
মিতালি ১৯৯৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। ক্রিকেটের ৩ ফর্ম্যাটেই ভারতের হয়ে খেলেছেন মিতালি। মহিলাদের ১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে তিনি ৬৯৯ রান করেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের গড় ৪৩.৬৮। টেস্টে ১টি দ্বিশতরান ও ৪টি অর্ধশতরান করেছেন মিতালি। তাঁর সর্বাধিক স্কোর ২১৪। মহিলাদের ওডিআই ফর্ম্যাটে ২৩২টি ম্যাচ খেলে সর্বাধিক ৭,৮০৫ রান করেছেন মিতালি। তাঁর রানের গড় ৫০.৬৮। ওডিআই ফর্ম্যাটে ৭টি শতরান ও ৬৪টি অর্ধশতরান করেন মিতালি। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ১২৫। ওডিআই ফর্ম্যাটে ৮টি উইকেটও নিয়েছেন মিতালি। তিনি টি-২০ ফর্ম্যাটে ৮৯টি ম্যাচ খেলে ২,৩৬৪ করেছেন। রানের গড় ৩৭.৫২। টি-২০ ফর্ম্যাটে ১৭টি অর্ধশতরান করেন মিতালি। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৯৭। মিতালির নেতৃত্বেই ২০০৫ সালে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। তবে সেবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ভারত।
এবারই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ চালু করেছে ভারতীয় সেনা। রবিবার ছিল ফাইনাল। এই ম্যাচ দেখতে যান মিতালি। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘গত ২-৩ বছর ধরে মহিলাদের ক্রিকেট ও মহিলা ক্রিকেটারদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই। এবারের উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ ভালোভাবে শেষ হয়েছে। খেলার জন্য বিষয়টি ভালো। আমাদের আশা, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনেক মহিলা ক্রিকেটার উঠে আসবে।’
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা বলেছেন, ‘আমি খেলা দেখেছি। আমি অনেকবার বলেছি, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রতিভার অভাব নেই। মেয়েরা যাতে সব ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে, তার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করছে প্রশাসন। আমি নিশ্চিত, জম্মু ও কাশ্মীরে পরবর্তী উন্নয়ন হবে মহিলাদের নেতৃত্বেই।’
আরও পড়ুন-
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে ৩-০ জয়, ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান
পিসিবি-র আমন্ত্রণ, এশিয়া কাপ উপলক্ষে পাকিস্তানে যাচ্ছেন রজার বিনি, রাজীব শুক্লা
আইপিএল-এর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য, খ্যাতি উপভোগ করছেন রিঙ্কু সিং