সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা যে নামটা শুনেই বিরক্ত হচ্ছিলেন, শুক্রবার সেই কে এল রাহুলকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বীরের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। রাতারাতি খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে উঠলেন রাহুল।

ব্যর্থতা-বিয়ে-ব্যর্থতা-সমালোচনা, গত কয়েকমাস ধরে এভাবেই আবর্তিত হচ্ছিল কে এল রাহুলের জীবন। জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বড় রান পাচ্ছিলেন না। ফলে সমালোচনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়। সহ-অধিনায়কের পদও খোয়াতে হয়। সসম্মানে ফিরে আসার জন্য একটি মঞ্চের খোঁজে ছিলেন রাহুল। শুক্রবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই মঞ্চ পেয়ে গেলেন এই ব্যাটার। দল যখন লো-স্কোরিং ম্যাচে পরপর উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা, ঠিক সেই সময় পাল্টা লড়াই করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন রাহুল। ৫ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে অসাধারণ লড়াই করলেন রবীন্দ্র জাদেজাও। ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওডিআই ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেল ভারতীয় দল। এরপরেই রাহুলের প্রশংসার ঢল নেমেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাঁরা এতদিন এই ব্যাটারকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হচ্ছিলেন, তাঁরাই এখন রাহুলকে নায়ক হিসেবে বর্ণনা করছেন।

 

 

দলকে জেতানোর পর রাহুল বলেছেন, ‘শুরুতেই আমাদের ৩ উইকেট পড়ে যায়। (মিচেল) স্টার্ক বল স্যুইং করাচ্ছিল। ওর বল যখন ভিতরের দিকে আসে, তখন ও বিপজ্জনক বোলার হয়ে ওঠে। আমি স্বাভাবিক খেলারই চেষ্টা করছিলাম। কয়েকটি বাউন্ডারি মারার পর আমার স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ আসে। আমি শুবমান (গিল), হার্দিক (পান্ডিয়া) ও (রবীন্দ্র) জাদেজার সঙ্গে ব্যাটিং করেছি। আমরা আলোচনা করছিলাম, উইকেট থেকে বোলাররা সাহায্য পেলেও আমরা গুটিয়ে থাকব না। একজন নির্দিষ্ট বোলারকে আক্রমণ করতে হবে। আমরা ইতিবাচক ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলাম। লুজ বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করছিলাম। জাদেজার সঙ্গে ব্যাটিং করা মজার। ও সুন্দর ব্যাটিং করেছে। ও জানে এই ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়।’

 

 

ম্যাচের সেরা জাদেজা বলেছেন, ‘আমি ৮ মাস পর ওডিআই ক্রিকেট খেলছি। সেই কারণে আমি এই ফর্ম্যাটের সঙ্গে যতটা সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সৌভাগ্যবশত আমি বল হাতে কয়েকটি উইকেট পাই। আমি যখন ব্যাটিং করতে যাই, তখন কে এল-এর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলাম। টার্গেট যতই কম হোক না কেন, সেই রানটাও আমাদের করতে হত। ৭০-৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলাই লক্ষ্য ছিল। সেটা করতে পেরেছি।’

 

আরও পড়ুন-

Ind Vs Aus: চাপের মুখে রাহুল-জাদেজার অসাধারণ ইনিংস, প্রথম ওডিআই ম্যাচে জয় ভারতের

মুম্বইয়ের উইকেটের বাউন্স কাজে লাগিয়েই সাফল্য এসেছে, জানালেন মহম্মদ সামি

কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে আইপিএল, বাড়িতেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হার্দিক-ক্রুণাল