সংক্ষিপ্ত
গত কয়েক বছরে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ক্রিকেটও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মন্ধানা, জেমাইমা রডরিগেজরাও এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গুরুত্বও পাচ্ছেন।
বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে জাতীয় দলের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের একই অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড। এরপর বিসিসিআই-ও একই সিদ্ধান্ত নেয়। এবার একই পথে হাঁটল আইসিসি-ও। বৃহস্পতিবার আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হল, এবার থেকে আইসিসি ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটাররা সম পরিমাণে প্রাইজ মানি পাবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আইসিসি-র বার্ষিক বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইসিসি-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সব দলকেই সমান অর্থ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাতে কোনও দলই বৈষম্যের অভিযোগ না করতে পারে, সেই চেষ্টা করছে আইসিসি।
আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এবার থেকে আইসিসি ইভেন্টে যোগ দেওয়া পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটাররা সমান প্রাইজ মানি পাবেন। ২০১৭ থেকে আমরা প্রতি বছর মহিলাদের ইভেন্টে প্রাইজ মানি বাড়িয়েছি। আমরা সব বিভাগেই সমান প্রাইজ মানি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। পুরুষরা বিশ্বকাপ জিতে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন, মহিলা ক্রিকেটাররাও বিশ্বকাপ জিতে সেই অর্থই পাবেন। ভবিষ্যতে টি-২০ বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও একই প্রাইজ মানি দেওয়া হবে। ক্রিকেট খেলা সবার জন্য। আইসিসি বোর্ড সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের খেলায় প্রতিটি খেলোয়াড়ের অবদান যাতে উদযাপন করা যায় এবং মূল্য দেওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আইসিসি-র বার্ষিক বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ৪ বছর বার্ষিক ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে পাবে বিসিসিআই। আইসিসি-র বার্ষিক রাজস্ব ধরা হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে থেকে বেশিরভাগ অর্থই পাবে বিসিসিআই। আইসিসি-র মোট রাজস্বের ৩৮.৪ শতাংশ অর্থই পাবে বিসিসিআই। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ে ৬ গুণ বেশি অর্থ পাবে বিসিসিআই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও অনেক বেশি অর্থ পাবে বিসিসিআই। ইসিবি-র চেয়ে কম অর্থই পাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফলে ক্রিকেট দুনিয়ায় আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে বিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার ডারবানে আইসিসি-র বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্রথম একাদশে ৪ জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা যাবে না। আইপিএল-এর শুরু থেকেই অবশ্য প্রথম একাদশে ৪ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখার নিয়ম রয়েছে। ফলে আইপিএল-এ সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন-
ভারতের ১৭-তম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে অভিষেকেই শতরান, এলিট ক্লাবে যশস্বী জয়সোয়াল
মহিলাদের টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হার ভারতীয় দলের
MS Dhoni: পোষ্য সারমেয়দের সঙ্গে কেক কাটলেন ধোনি, উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা