সংক্ষিপ্ত
ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাজবল। চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক এই খেলার ধরনে বিপক্ষ দলগুলি চাপে পড়ে যাচ্ছে। তবে ব্যাজবল নিয়ে মোটেই ঘাবড়াচ্ছেন না ভারতের তারকা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
অধিনায়ক বেন স্টোকস ও প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের নেতৃত্বে নতুন ধরনের ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে ইংল্যান্ড। বিপক্ষ দলের উপর সবসময় চাপ বজায় রাখাই 'ব্যাজবল' ক্রিকেটের ধরন। এই নতুন ধরনের ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচই হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান সফরে সাফল্য এসেছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে সহজ জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচেও ভালো জায়গায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে ফলো অন করিয়েছেন স্টোকসরা। তবে যতই সাফল্য পাক না কেন, ইংল্যান্ডের এই খেলার ধরনকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর মতে, সব ধরনের পিচে 'ব্যাজবল' চলবে না। নির্দিষ্ট কিছু পিচে এভাবে খেলা চলবে না। পিচের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে পাল্টা শ্রদ্ধা পাওয়া যাবে। এর ফলও ভালো হবে। ভবিষ্যতে যখন ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ হবে, তখন অশ্বিনের এই বক্তব্যের তাৎপর্য বোঝা যাবে।
‘ব্যাজবল’ প্রসঙ্গে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমরা এখন ব্যাজবল নামে একটি নতুন ধরনের ক্রিকেট দেখতে চাইছি। ইংল্যান্ড দল টেস্ট ম্যাচে দ্রুতগতির ক্রিকেট খেলছে। ওরা নির্দিষ্ট একটি ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাইছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কয়েকটি ধরনের উইকেটে ব্যাজবল ক্রিকেট খেলা সফল হবে না। সব ধরনের উইকেটে যদি প্রতিটি বলই আক্রমণ করতে চায় ব্যাটাররা, তাহলে তার ফল ভালো হবে না। ইংল্যান্ডের এই ধরনের খেলার কিছু সুবিধা যেমন আছে, তেমনই আবার কিছু অসুবিধাও আছে। অনেকে বলতে পারে, রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ১০০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার বদলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ১৪০ রান করবে। আরও অনেক ম্যাচ হলে তবেই আমরা বুঝতে পারব এই ধরনের খেলা কার্যকর হবে কি না। মাঝেমধ্যে উইকেট, পরিবেশ-পরিস্থিতিকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। পিচের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সেই অনুযায়ী খেলে কোনও দল, তাহলে পিচ সবসময় ক্রিকেটারদের পাল্টা শ্রদ্ধা জানাবে। পিচকে শ্রদ্ধা জানালে সবসময় ভালো ফল পাওয়া যায়।’
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ডেভিড গাওয়ার বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধেই ব্যাজবলের বড় পরীক্ষা হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে আমাদের এই নতুন ধরনের ক্রিকেট কার্যকর হচ্ছে কি না। এবারের অ্যাশেজ অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ অত্যন্ত শক্তিশালী। ওদের ব্যাটাররাও যথেষ্ট শক্তিশালী। ওরা ইতিবাচক ভঙ্গিতেই ক্রিকেট খেলে। ইংল্যান্ডও ইতিবাচক ভঙ্গিতেই ক্রিকেট খেলবে। আমাদের দলও জয়ের সম্ভাবনা দেখছে। এটাই ব্যাজবল ক্রিকেটের সংস্কৃতি। ওরা ফের হারের কথা ভেবে আতঙ্কিত। দুর্দান্ত সিরিজ হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন-
মাঠের বাইরে আয়, তোকে ছাড়ব না, শোয়েব মালিককে হুমকি দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!
শোয়েব আখতারের এখন হাঁটার ক্ষমতাও নেই! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস শাহিদ আফ্রিদির
Yuvraj Singh : শিম্পাঞ্জিকে নকল করে শরীরচর্চা, মজার ভিডিও শেয়ার যুবরাজ সিংয়ের