সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বরাবরই লড়াকু হিসেবে পরিচিত। ক্রিকেট মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, সবসময় প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেন তিনি।

ভারতের মতোই বাংলাদেশ, পাকিস্তানেও জনপ্রিয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ওডিআই, টেস্ট সিরিজ জিতে এসেছিল ভারতীয় দল। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মতোই বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সঙ্গেই সৌরভের সম্পর্ক ভালো। কিন্তু খেলার সময় একবার পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের উপর প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তাঁকে হুমকি দিয়ে বসেন সৌরভ। পুরনো সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার কামরান আকমল। একটি ইউটিউব চ্যানেলে সদ্য অবসর নেওয়া কামরান বলেছেন, ২০০৫ সালে মোহালিতে টেস্ট ম্যাচে ভারতের প্রথম ইনিংসে সৌরভ যখন ব্যাটিং করছিলেন, সেই সময় শোয়েবের সঙ্গে তাঁর টক্কর শুরু হয়। সিলি মিড-অনে ফিল্ডিং করছিলেন শোয়েব। তিনি বারবার সৌরভের মন অন্য়দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর জন্য নানা অঙ্গভঙ্গি করছিলেন। এমনকী, সৌরভকে বিরক্ত করার জন্য নানা মন্তব্যও ছুড়ে দিচ্ছিলেন শোয়েব। তাঁর সেই কৌশল কাজে দেয়। তিতিবিরক্ত হয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান সৌরভ।

সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করে কামরান বলেছেন, ‘২০০৫ সালে মোহালি টেস্ট ম্যাচে দানিশ (কানেরিয়া) যখন বোলিং করছিল সেই সময় সিলি মিড-অনে ছিল শোয়েব মালিক। একটি বল ঠিকমতো জায়গায় রাখতে পারেনি দানিশ। সেই বলে বাউন্ডারি মারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই সৌরভকে শুনিয়ে আমাকে শোয়েব বল, দেখেছিস কামরান, দাদার উপর কতটা চাপ আছে। ওভার-বাউন্ডারি মারার বলে বাউন্ডারি মারল। পরের বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারার চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়ে যান সৌরভ। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি শোয়েবকে বলেন, তোকে আমি ছাড়ব না। তুই মাঠের বাইরে আয়।’

কামরান যে ম্যাচের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি ২০০৫ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত চলেছিল। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সৌরভ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৩১২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৯১ রান করেন আসিম কামাল। পাকিস্তানের অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক করেন ৫৭ রান। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নেন লক্ষ্মীপতি বালাজি। এরপর প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দল করে ৫১৬ রান। ১৭৩ রান করেন বীরেন্দ্র সেহবাগ। ৯৪ রান করেন সচিন তেন্ডুলকর। ৫৮ রান করেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। ৫০ রান করেন রাহুল দ্রাবিড়। সৌরভ করেন ২১ রান। ৬ উইকেট নেন কানেরিয়া। 

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। কামরান করেন ১০৯ রান। ইনজামাম করেন ৮৬ রান। ৭১ রান করেন আবদুল রজ্জাক। ৬৮ রান করেন মহম্মদ ইউসুফ। বালাজি ও অনিল কুম্বলে ৪ উইকেট করে নেন। এরপর ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৮৫ রান করে। ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-

বাড়িতে সারমেয়দের সঙ্গে খেলায় মেতেছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর

পরিবার, ছোটবেলার কোচ ছাড়া খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন একমাত্র ধোনি, জানালেন বিরাট

শোয়েব আখতারের এখন হাঁটার ক্ষমতাও নেই! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস শাহিদ আফ্রিদির