সংক্ষিপ্ত

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ক্রিকেট (Syed Mushtaq Ali Trophy) প্রতিযোগিতাতে বড় জয় বাংলার।

কারণ, ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ১০ রানেই ৪ উইকেট পড়ে তাদের। কিন্তু সেই ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াল বাংলা এবং জিতল।

লড়াকু ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতালেন শাহবাজ় আহমেদ। সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি। এই দুই ব্যাটারের দাপটেই এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল বাংলা ক্রিকেট দল। আর সেই সুবাদে জয় দিয়েই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ প্রতিযোগিতা শুরু করল বাংলা। কিন্তু ছন্দে পাওয়া গেল না মহম্মদ শামিকে।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল পাঞ্জাব। অভিষেক শর্মা এবং প্রভসিমরন সিংহ আক্রমণাত্মক ইনিংস দিয়েই শুরু ওয়েলকাম করেন বাংলাকে। পাওয়ার-প্লেকে পুরোপুরি কাজে লাগান তারা। প্রথম দুই ওভারে ৩০ রান দিয়ে বসেন শামি। অভিষেক ১৮ রানে আউট হয়ে গেলেও প্রভসিমরনের সঙ্গে রানের গতি এগিয়ে নিয়ে যান অনমোলপ্রীত সিং।

প্রায় প্রতি ওভারেই ১০-এর বেশি রান উঠছিল। কিন্তু বল হাতে সেই জুটি ভাঙেন শাহবাজ়। ৩৫ রানে প্রভসিমনরনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ওদিকে অনমোলপ্রীত ৩৯ রানে আউট হন। মাঝের ওভারে পরপর উইকেটের পতন হলেও রানের গতি কমেনি পাঞ্জাবের। পাঞ্জাবের ইনিংস শেষ হয় ১৭৯ রানে। ম্যাচের ১৯.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় তারা। বাংলার বোলারদের মধ্যে করণ লাল নেন ৩ উইকেট। শামি চার ওভার বল করে মোট ৪৬ রান দেন। বদলে মাত্র ১টি উইকেট পান তিনি।

এরপর রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই বাংলা অভিষেক পোড়েল, করণ, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরীর উইকেট হারায়। একটা সময় মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় বাংলার। কিন্তু সেখান থেকেই হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং অধিনায়ক সুদীপ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং রানিং বিটউইন দ্য উইকেট চালিয়ে যান তাড়া দুজন। মাত্র ৬০ বলে ১১০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা।

সুদীপের সংগ্রহে ৪৩ রান। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিজে পড়ে থাকেন শাহবাজ়। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। শেষপর্যন্ত, এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।