সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে পাকিস্তানিরা যেমন ভারতের জয় চাইছিল, তেমনই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় চাইছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দুটোর কোনওটাই হল না।
টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার ১২ গ্রুপ-১ থেকে কোন দুই দল সেমি ফাইনালে যাবে, সেটা শেষ ম্যাচের আগে বলা যাবে না। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এই গ্রুপের লড়াই জমিয়ে দিল ইংল্যান্ড। এখন নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া, ৩ দলেরই ৪ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট ৫। শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচ জিতলেই শেষ চারে চলে যাবেন কেন উইলিয়ামসনরা। শনিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচ জিতলে ইংল্যান্ডও শেষ চারে চলে যাবে। শুক্রবার শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ জিতে ৭ পয়েন্টে শেষ করলেও, অ্যারন ফিঞ্চদের সেমি ফাইনালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের চেয়ে রান রেটে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নেট রান রেটই হয়তো তাঁদের সেমি ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেবে। শেষপর্যন্ত হয়তো সেটাই হতে চলেছে।
এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি নিজে ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। রান আউট হওয়ার আগে ৪৭ বল খেলে ৭৩ রান করেন বাটলার। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা। অপর ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ৫২ রান করেন। তাঁর ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা। ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামা লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ২০ রান। আর কোনও ব্যাটার অবশ্য ২ অঙ্কের রান করতে পারেননি। মইন আলি ৫, হ্যারি ব্রুক ৭, বেন স্টোকস ৮ রান করেন। স্যাম কারান ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডেভিড মালান ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিউয়িদের হয়ে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি। ইংল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে।
রান তাড়া করতে নেমে ২৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৬ করেন। অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে করেন ৩ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন করেন ৪০ রান। গ্লেন ফিলিপস করেন ৬২ রান। তবে আর কোনও ব্যাটার লড়াই করতে পারেননি। জেমস নিশম ৬, ড্যারিল মিচেল ৩ রান করেন। ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। সোধি ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করেই থেমে যায়। ২০ রানে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড।