সংক্ষিপ্ত
- ডুরান্ডে বুধবার জোড়া সেম ফাইনাল
- ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি গোকুলম কেরল
- মোহনবাগানের সামনে রিয়েল কাশ্মীর
- দুই প্রধান জিতলেই ফাইনালে ডার্বি
মার্কাস জোসেফ। ডুরান্ড কাপের সেমি ফাইনালে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আতঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই একটি নামই যথেষ্ট। গোকুলম এফসি-তে খেলা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর এই বিদেশি স্ট্রাইকার ডুরান্ড কাপে প্রথম তিন ম্যাচে আটটি গোল করে ফেলেছেন। তার মধ্যে রয়েছে দু'টি হ্যাটট্রিক। দুরন্ত ছন্দে রয়েছে কেরলের দলটিও। তাই জোসেফকে আটকানোই বড় চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গল বোরহা গোমেজের নেতৃত্বে থাকা ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের সামনে।
প্রতিপক্ষ শিবিরের বিদেশি স্ট্রাইকার যখন ইস্টবেঙ্গল শিবিরের চিন্তার কারণ, তখন লাল- হলুদ শিবিরকে গোল করার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে প্রতিশ্রুতিমান বিদ্যাসাগর সিং আর জেইমি স্যান্টোস কোলাডোর দিকে। লাল হলুদ কোচের স্বস্তি বাড়িয়ে গোলের মধ্য়েই রয়েছেন বিদ্যাসাগর। তবে গ্রুপ লিগে গোল করে দলকে জেতালেও সেমি ফাইনালে গোকুলাম ডিফেন্সকে টপকে তরুণ এই ভারতীয় স্ট্রাইকার গোল করতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার। তবে গোকুলাম বা মার্কাসকে নিয়ে তিনি যে তৈরি, তা মঙ্গলবার অনুশীলনের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্দেস। সমর্থকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ জিতেই ফিরবে।'
তবে ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এই ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন গোকুলমের আর এক বিদেশি স্ট্রাইকার হেনরি কিসেকা। কুঁচকিতে চোট থাকায় তিনি এই ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে এ দিনই যুবভারতীতে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইতে নামছে মোহনবাগানও। সেমি ফাইনালে কিবু ভিকুনার দলের প্রতিপক্ষ রিয়েল কাশ্মীর। মহামেডানকে হারিয়ে জয় দিয়ে মরশুম শুরু করলেও তার পরে ধারাবাহিকতা হারিয়েছে স্প্যানিশ কোচের দল। কলকাতা লিগে হার এবং ড্রয়ের পরে দুর্বল ভারতীয় নৌবাহিনী বিরুদ্ধে ডুরান্ডে জয়ে ফিরেছিল বাগান। কিন্তু নৌবাহিনী আর কাশ্মীর যে এক নয়, তা ভালই বুঝছেন কিবু ভিকুনাও। ডিফেন্স, মাঝমাঠের সঙ্গে স্প্যানিশ কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে দলের ফিটনেস। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সত্তর মিনিটের পরে দাঁড়িয়ে পড়ছে গোটা দল। গোয়ায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শিবির, পছন্দের ফিটনেস ট্রেনারকে এনেও দলের ফুটবলারদের এই অবস্থা কেন, তা নিয়ে বেশ চাপে রয়েছেন কিবু নিজেও। তবে কিবুকে স্বস্তি দিয়ে মাঠে ফিরছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বেইতিয়া। তাই তিনি চাইছেন, নির্ধারিত নব্বই মিনিটের মধ্যেই কাশ্মীর বধ করতে।
কাজটা যে সহজ নয় তা ভালই জানেন স্প্যানিশ কোচ। কাশ্মীর যতই অশান্ত হোক না কেন, তার প্রভাব ডুরান্ড কাপে অন্তত রিয়েল কাশ্মীরের খেলায় পড়েনি। তার উপরে ঘরের মাঠে চাপ থাকবে মোহনবাগানের উপরেই। নিজেদের উপর চাপ কমাতে উল্টে কাশ্মীরের স্কটিশ কোচ ডেভিড রবার্টসন বলে দিয়েছেন, ডুরান্ডকে আই লিগের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন তিনি। ফাইনালে উঠলে বা কাপ জিতলে তা হবে বাড়তি পাওনা।
শেষ পর্যন্ত দুই প্রধান যদি কঠিন ম্যাচ জিতে ডুরান্ড ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়, তাহলে কলকাতা লিগের আগেই মরশুমের প্রথম ডার্বি দেখতে পাবেন ফুটবলপ্রেমীরা।