সংক্ষিপ্ত

সুব্রত ভট্টাচার্য মানেই বিতর্ক, আবেগ। বয়স ও অসুস্থতার কারণে গড়ের মাঠের সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছে। তবে এখনও ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েননি ময়দানের বাবলু।

সুব্রত ভট্টাচার্যর কোচিংয়েই প্রথমবার মোহনবাগানের হয়ে খেলার সুযোগ পান কিশোর সুনীল ছেত্রী। তাঁকে বড় ফুটবলার হয়ে উঠতে সাহায্য করেন সুব্রত। সেই কারণে বরাবরই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল সুনীল। কোচ-ফুটবলারের সম্পর্ক ছাড়িয়ে তাঁরা পারিবারিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। এখন সুব্রতর জামাই সুনীল। শনিবার মোহনবাগান দিবসে সুব্রতর আত্মজীবনী 'ষোলো আনা বাবলু' প্রকাশ করলেন সুনীলই। আত্মজীবনী প্রকাশ উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর মোহনবাগান তাঁবুতে যান সুব্রত। গত কয়েক বছরে তিনি বারবার সবুজ-মেরুন কর্তাদের আক্রমণ করেছেন। কর্তাদের প্রতি ক্ষোভেই এখন আর নিয়মিত প্রিয় ক্লাবে যান না সুব্রত। তবে শনিবার অভিমান-ক্ষোভ ভুলে মোহনবাগান তাঁবুতে যান। ক্লাবের মাঠে বসে খেলা দেখেন, নতুন করে সেজে ওঠা তাঁবু ঘুরে দেখেন। মোহনবাগান কর্তাদের পাশাপাশি সদস্য-সমর্থকরাও প্রিয় বাবলুদাকে স্বাগত জানান।

শ্বশুরের আত্মজীবনী প্রকাশ করে সুনীল বলেন, 'আমার কাছে মোহনবাগান মানে সুব্রত ভট্টাচার্য আর সুব্রত ভট্টাচার্য মানেই মোহনবাগান। উনি সবসময় বলতেন, নিজের সেরাটা দাও। ক্লাবের জন্য খেলো, জার্সির জন্য খেলো। ওঁর মতো বোধহয় আর কেউ মোহনবাগানকে ভালোবাসে না। আমি দিল্লি থেকে যখন প্রথম কলকাতায় খেলতে আসি, তখন মোহনবাগানের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না। সুব্রত ভট্টাচার্যর কাছ থেকেই মোহনবাগান সম্পর্কে জানতে পারি।'

শনিবার মোহনবাগান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। ২০০৭ সালে কয়েক মাসের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়েছিলেন সুব্রত। তাঁর কোচিংয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। সে কথা মনে রেখেই শনিবার সুব্রতর আত্মজীবনী প্রকাশের অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা দেন ইস্টবেঙ্গলের সহ-সচিব রূপক সাহা ও কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার। তাঁরা সুব্রতকে লাল হলুদ উত্তরীয়, মানপত্র, শতবর্ষের স্মারক, পুষ্পস্তবক, মিষ্টি দিয়ে সম্মান জানান। এই অনুষ্ঠানেই জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীলকেও সম্মান জানান লাল-হলুদ কর্তারা। মোহনবাগানের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেছেন সুনীল। তিনি ইস্টবঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানেও ছিলেন। 'মোহনবাগান দিবস' উপলক্ষে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকে লাল হলুদ উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকদের মধ্যে যতই রেষারেষি থাকুক না কেন, কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একে অপরের তাঁবুতে যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানোর পালা দেখা যায়। সমর্থকদের মধ্যে অবশ্য একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা দেখা যায়।

আরও পড়ুন-

১ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১৫ টাকায়! মোহনবাগানের শিল্ড জয়ে উৎসবে মেতেছিল সারা ভারত

ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভারত গৌরব সম্মান পাচ্ছেন রতন টাটা, অন্য ইঙ্গিত দেখছেন সমর্থকরা

অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার