সংক্ষিপ্ত
এ যেন একেবারে গোলের মালা। কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) বড় জয় মোহনবাগানের (Mohun Bagan)।
এ যেন একেবারে গোলের মালা। কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) বড় জয় মোহনবাগানের (Mohun Bagan)।
যদিও একাধিক ম্যাচে ড্র এবং হারতে হয় তাদের। কিন্তু ফের ঘুরেও দাঁড়ায় তারা। প্রতিপক্ষকে ৫ গোল দেওয়ার রেকর্ডও আছে। আর এবার রেলওয়ের বিরুদ্ধে ৮-১ গোলে জিতল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এই ম্যাচে জিততেই হত মোহনবাগানকে। এদিন রেলওয়েকে কার্যত নাস্তানাবুদ করল মোহনবাগান। যদিও ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাগান শিবির।
সুমিত রাঠির ছোট্ট ভুল থেকে বল পেয়ে রেলওয়েকে এগিয়ে দেন রাহুল হালদার। কিন্তু ম্যাচের ৬ মিনিটের মধ্যেই, সেই ধাক্কা সামলে দুরন্ত কামব্যাক করে সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচের ২১ মিনিটে, রাজ বাসফোরের ক্রস থেকে মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরান সেরতো।
এরপর গোল করেন আদিল আবদুল্লা। এবারও নেপথ্যে ছিলেন সেই রাজ বাসফোরে। ফের তাঁর বিষাক্ত ক্রস গিয়ে পড়ে রেলওয়ের পেনাল্টি বক্সে। আর ভিড়ের মধ্যে থেকে ছিটকে গিয়ে গোল করেন সেই আদিল। তারপর থেকেই শুরু হয় গোলের বন্যা।
খেলার ৩১ মিনিটে, গোল করেন রবি রানা। তাঁর ক্রস রেলওয়ে ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সোজা জালে জড়িয়ে যায়। অপরদিকে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে, পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সেরতো। তবে সেখানেই শেষ নয়, প্রথমার্ধের আগেই এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন সালাহ।
ঠিক ডানদিক থেকে অতর্কিতে বল নিয়ে ঢুকে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি। অপরদিকে দ্বিতীয় গোলটির সময় বাঁ-দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে পা ছুঁইয়ে দেন সালাহ। যেহেতু ফার্স্ট গাফেই মোহনবাগান ৬ গোলে এগিয়ে যায়, তাই আর পরাজয়ের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধেও দুটি গোল করে মোহনবাগান। খেলার ৭৫ মিনিটে, হেড দিয়ে গোল করেন উত্তম হাঁসদা। আর শেষ গোলটি আসে খেলার ৮৮ মিনিটে, তপন হালদারের পা থেকে।
সবমিলিয়ে, ৮-১ গোলে জয় মোহনবাগানের। আর এই জয়ের ফলে, সুপার সিক্সে যাওয়ার রাস্তাও অনেকটা প্রশস্ত হল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।