সংক্ষিপ্ত
ডুরান্ড কাপে গ্রুপের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের বদলা ফাইনালে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফের কলকাতা ডার্বি।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। রবিবার ফাইনালে ফের কলকাতা ডার্বি। গ্রুপের ম্যাচে নন্দকুমার শেখরের গোলে হেরে গিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই টুর্নামেন্টেই সেই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন জেসন কামিংস, আনোয়ার আলিরা। ২০০৪ সালে শেষবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হয়েছিল। সেবার চন্দন দাসের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ফল হয়েছিল ২-১। ১৯ বছর পর সেই হারেরও বদলা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবির। কলকাতায় ডুরান্ড কাপে এই প্রথম ফাইনালে ডার্বি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জয়ে অবশ্য কাঁটা হয়ে থাকল রেফারিং বিতর্ক। এদিন ম্যাচের শুরুতে গোয়ার প্রাধান্য ছিল। ২৩ মিনিটে দুরন্ত গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন নোয়া সাদাউই। মাঝমাঠে হুগো বুমোসের ভুল পাস ধরে সবুজ-মেরুন রক্ষণে পৌঁছে গিয়ে ডান পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে বিশাল কাইথকে হার মানান নোয়া। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর চেষ্টা শুরু করেন কামিংস, দিমিত্রিওস পেট্রাটসরা। ৩৯ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় সবুজ-মেরুন। বক্সের ঠিক বাইরে আশিক কুরিনিয়ানকে ট্যাকল করেন জয় গুপ্ত। রেফারি প্রথমে ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপর সেই সিদ্ধান্ত বদলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। গোল করে সমতা ফেরান কামিংস। এই গোলই গোয়ার ফুটবলারদের মনোবল ভেঙে দেয়। ৬১ মিনিটে সন্দেশ ঝিঙ্গানের ভুলে বক্সের ঠিক বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে বিনা বাধায় ডান পায়ের জোরালো শটে গেল করেন আর্মান্দো সাদিকু। আলবানিয়ার হয়ে ইউরো কাপে খেলা এই স্ট্রাইকার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে প্রথম গোল করলেন। তাঁর গোলেই ডুরান্ড কাপ ফাইনালে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন।
ডুরান্ড কাপের ২টি সেমি-ফাইনালই সন্ধে ৬টায় শুরু হলেও, রবিবার ফাইনাল শুরু হবে বিকেল ৪টেয়। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে এবার যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে তারা এককভাবে সবচেয়ে বেশিবার ডুরান্ড কাপ জেতার রেকর্ড গড়বে। গত ডার্বি জেতায় আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদ শিবির। তবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া। কামিংস ও সাদিকু কলকাতার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। হুয়ান ফেরান্দোর দল অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে দলগত শক্তির বিচারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
Sunil Chhetri: অগাস্টের শেষেই সুখবর, পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সুনীল ছেত্রী
Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির