সংক্ষিপ্ত
নেইমারের দলে না থাকার প্রভাব পড়ল ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত ছন্দে পাওয়া গেল না সেলেকাওদের।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যে ফুটবল খেলেছিল ব্রাজিল, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ছন্দ দেখা গেল না। নেইমারের অভাব স্পষ্ট বোঝা গেল। নেইমার মাঝমাঠ থেকে যেভাবে খেলা তৈরি করেন, সেটা করতে পারছিলেন না তাঁর পরিবর্তে খেলতে নামা ফ্রেড। ফলে রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা সেভাবে বল পাচ্ছিলেন না। রাফিনহা উইং থেকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাঁর পক্ষেও সুইস রক্ষণকে ভেদ করা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাস পাকুয়েতার বদলে রডরিগোকে মাঠে নামান ব্রাজিলের কোচ তিতে। ৬৪ মিনিটে গোল করে ফেলেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নিয়ে অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। গোল হচ্ছে না দেখে ৭৩ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন তিতে। গত ম্যাচের নায়ক রিচার্লিসনের বদলে মাঠছে নামেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং রাফিনহার বদলে মাঠে নামেন অ্যান্টনি। কিন্তু এই পরিবর্তনেও খেলার ধারায় বিশেষ বদল আসেনি। ব্রাজিল আক্রমণ করছিল বটে, কিন্তু সুইস ডিফেন্ডাররা সেই আক্রমণ সহজেই রুখে দিচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত ৮৩ মিনিটে ঝলসে ওঠে ক্যাসেমিরোর ডান পা। তাঁর গোলেই জয় পেল ব্রাজিল।
এই ম্যাচ জেতার ফলে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ জি থেকে নক-আউটে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলল ব্রাজিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবেন ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসনরা।
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গত ১০টি গোলের মধ্যে ৯টি হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। এর অর্ধ, ম্যাচ যত শেষের দিকে এগোচ্ছে ততই ব্রাজিলের আক্রমণের ধার বাড়ছে এবং গোলও আসছে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ঠিক সেটাই হল। জেসুস, রডরিগোরা একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়ত। তবে শেষপর্যন্ত ব্রাজিল জয় পাওয়াতেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমর্থকরা খুশি। নেইমার, ড্যানিলোকে ছাড়াই জয় আসায় সেলেকাও শিবির স্বস্তিতে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নক-আউটে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। নেইমারকেও জোর করে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে নামানোর প্রয়োজন হবে না। তিনি ১০০ শতাংশ ফিট হয়ে নক-আউটে খেলতে পারবেন।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে সুইৎজারল্যান্ড। সেই ম্যাচ জিতলে বা ড্র করতে পারলেই নক-আউটে চলে যাবে সুইসরা। সার্বিয়া বা ক্যামেরুনকে নক-আউটে যেতে হলে গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিততে হবে। ক্যামেরুনের কাজটা বেশি কঠিন, কারণ আফ্রিকার দলটিকে খেলতে হবে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-
ঘানার বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াই করেও হার, ছিটকে যাওয়ার মুখে দক্ষিণ কোরিয়া
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াই, ১-৩ পিছিয়ে পড়েও ড্র ক্যামেরুনের
অবশেষে মেসি ম্যাজিকে মেক্সিকো-বধ, বিশ্বকাপে টিকে থাকল আর্জেন্টিনা