সংক্ষিপ্ত

রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। মাঝে আর মাত্র এক দিন। কিন্তু ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের পরিস্থিতি একেবারেই ভাল নয়। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের দেশের কথা জানালেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা গিলমার ডা সিলভা।

বিশ্বকাপের আগে একেবারেই ব্রাজিল ভাল নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। দেশজুড়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকার-বিরোধীদের নির্বিচারে বন্দি করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি এমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কারও মধ্যেই খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মন ভাল নেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার গিলমার ডা সিলভারও। ২০০২-০৩ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের জাতীয় লিগ জয়ী দলের তারকা জানালেন, 'ব্রাজিলে আমরা কেউই ভাল নেই। আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমাদের বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। আমরা রাজনৈতিক সমস্যা মেটার অপেক্ষায় আছি। বিশ্বাস করুন, এখন আমাদের দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। লুলা ডা সিলভা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। উনি ব্রাজিলের সব সম্পদ চুরি করে নিয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে উনি দোষী সাব্যস্তও হন, কিন্তু আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারব্যবস্থা ওঁকে রেহাই দিয়েছে। উনি নির্বাচনেও কারচুপি করেছেন। লুলা ও তাঁর সঙ্গীরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষ চায় না ওঁরা জোর করে ক্ষমতা দখল করুন।'

রাজনীতিবিদদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে গিলমার আরও বলেছেন, 'সারা পৃথিবীর জানা উচিত, ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডে মোরেজ একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। নিরীহ, ভাল মানুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ব্রাজিলে কী হচ্ছে, সে বিষয়ে আপনারা দয়া করে খোঁজ নিন। ভারতের মানুষের কাছে আমার আবেদন, আপনারা ব্রাজিলের পাশে থাকুন। আপনারা ব্রাজিলের জন্য প্রার্থনা করুন।'

বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ নেই বললেও, নিজেদের দল নিয়ে আশাবাদী গিলমার। তাঁর বক্তব্য, 'এবারের বিশ্বকাপে অবশ্যইউ ফেভারিট ব্রাজিল। আমাদের দলের ফুটবলারদের বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা আছে।'

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে অল্পদিনই খেলেছেন। তবে কলকাতায় কাটানো দিনগুলির কথা মনে রেখেছেন গিলমার। এ প্রসঙ্গে বললেন, 'আমি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার দিনগুলির কথা কোনওদিন ভুলব না। আমাদের দল দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল। আমি চোট পাওয়ায় ক্লাবের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে পারিনি। সেই দুঃখ রয়ে গিয়েছে। আমি এখনও ইস্টবেঙ্গলের খবর রাখি। জানি, গত কয়েক বছর ধরে দল সাফল্য পাচ্ছে না। তবে আমি সবসময় আশাবাদী, ইস্টবেঙ্গল সাফল্যের পথে ফিরবে।'

২০০২-০৩ মরসুমে গিলমার, ডগলাস, সুলে মুসা ও মাইক ওকোরো ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের চার বিদেশি। সেই দল লাল-হলুদ তাঁবুতে দ্বিতীয়বার জাতীয় লিগ এনে দিয়েছিল। পরের মরসুমে অবশ্য দল ছাড়তে হয় গিলমারকে। তিনি আর কলকাতায় ফেরেননি। 

আরও পড়ুন-

শুক্রবার আইএসএল-এ মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-ওড়িশা, ওড়িশার বিরুদ্ধে গোল না খাওয়ার চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের

রবিবার থেকে শুরু বিশ্বকাপ ফুটবল, জেনে নিন প্রিয় দলগুলি কবে মাঠে নামছে

৩৬ ম্যাচ অপরাজিত, ৫ গোলে জিতে মেসিরা বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের জন্য তৈরি