সংক্ষিপ্ত
ইস্টবেঙ্গলের আরও একটি খারাপ মরসুম শেষ হতে চলেছে। সুপার কাপে আর একটি ম্যাচ বাকি। তারপরেই হয়তো চলতি মরসুমে লাল-হলুদ ব্রিগেডে আর কোনও ম্যাচ খেলবে। পরের মরসুমের অপেক্ষা।
এগিয়ে থেকেও কীভাবে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ড্র করতে হয়, সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে যদি কোনও ফুটবল-গবেষক কাজ করেন, তাহলে সবার আগে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে পারেন। প্রথমার্ধের শেষে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচ ৩-৩ ড্র করে সুপার কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার মুখে ইস্টবেঙ্গল। সারা মরসুম ধরেই প্রায় প্রতি ম্যাচে নিয়ম করে শেষদিকে গোল হজম করছেন লালচুংনুঙ্গা, কমলজিৎরা। কিন্তু ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন এই রোগ সারাতে পারলেন না। সুপার কাপ শুরু হওয়ার আগেই তিনি ছাঁটাই হওয়ার কথা জেনে গিয়েছেন। ফলে এখন আর দল নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবছেনও না। মরসুমের শুরুতে লাল-হলুদ যে তিমিরে ছিল মরসুমের শেষদিকে এসেও সেই তিমিরেই থেকে গেল। ব্যতিক্রম ক্লেইটন সিলভা ও নাওরেম মহেশ সিং। এই দুই ফুটবলারই লাল-হলুদে আশার আলো।
বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্য়াচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৪ মিনিটে ক্লেইটনের অসাধারণ পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মহেশ। হায়দরাবাদের ডিফেন্ডাররা সমান্তরালভাবে ছিলেন দেখে থ্রু বাড়ান ক্লেইটন। এগিয়ে গিয়ে বল ধরে হায়দরাবাদের গোলকিপারকে কাটিয়ে ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন মহেশ। তবে লাল-হলুদের কুখ্যাত রক্ষণ বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি। ১০ মিনিটের মাথায় হোলিচরণ নার্জারির ক্রস থেকে হেডে গোল করেন হেভিয়ের সিভেরিয়ো। তবে বল ধরার সময় অফসাইডে ছিলেন হোলিচরণ, যা সহকারীর রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। ১৮ মিনিটে গোল করে ফের লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন সুহের। জেক জার্ভিসের শট হায়দরাবাদের গোলকিপারের হাতে লেগে ফিরে আসে। সেই বলে সুহেরের জোরালো শট জালে জড়িয়ে যায়। ফের পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের চেষ্টা শুরু করে হায়দরাবাদ। ২২ মিনিটে সিভেরিয়োর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩০ মিনিটে একটি হেড ধরতে গিয়ে হাত ফস্কে আর একটু হলেই গোল খেয়ে যাচ্ছিলেন কমলজিৎ। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। ৪৪ মিনিটে ক্লেইটনের শট হায়দারাবাদের গোলকিপারের হাত থেকে বেরিয়ে আসে। মহেশ সেই বল গোলে ঠেলে দেন। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে সিভেরিয়োর শট সেভ করে দেন কমলজিৎ। ফিরতি বলে শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে বিরতির সময় ৩-১ গোলে এগিয়েছিল লাল-হলুদ।
প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ করলেও, দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে আক্রমণ করতে পারছিলেন না ক্লেইটন-মহেশরা। কোচের কোনও পরিকল্পনাও দেখা যায়নি। ৭১ মিনিটে নিজেদর দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান কমান সিভেরিয়ো। এরপর ৮১ মিনিটে আবদুল রাবি গোল শোধ করে দেন।
ইস্টবেঙ্গলকে সেমি-ফাইনালে যেতে হলে শুধু গ্রুপের শেষ ম্যাচে আইজল এফসি-কে ৩ গোলের ব্যবধানে হারালেই হবে না, হায়দরাবাদ-ওড়িশা ম্যাচ ড্র হতে হবে। ফলে লাল-হলুদের কাজটা কঠিন।
আরও পড়ুন-
Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা
প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়, জামশেদপুরকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না সবুজ-মেরুন
সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে গোকুলম কেরালাকে ৫-১ উড়িয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান