সংক্ষিপ্ত

ডার্বির পরেই যেন কিছুটা তাল কাটল। 

তবে সহজ ম্যাচ কিছুটা কঠিন করে ড্র করল জোসে মোলিনার দল। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ৩ পয়েন্ট নিয়ে আর ফেরা হচ্ছে না তাদের। কার্যত, একের পর এক গোল মিস করল মোহনবাগান।

অন্যদিকে, মাঝমাঠ থেকে আবার উঠে এসে গোল করে গেলেন জামশেদপুরের স্টিফেন এজে। আর ম্যাচ শেষ হল ১-১ ফলাফল নিয়ে। তবে ম্যাচ ড্রয়ের পরেও ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষেই থেকে গেল মোহনবাগান।

যদিও জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চলে আসে মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু তা একেবারেই কাজে লাগাতে পারলেন না জেমি ম্যাকলারেনরা। আর তার ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই লিস্টনের ফ্রিকিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

তবে এই কথা ঠিক যে, মোহনবাগানের লাগাতার আক্রমণের সামনে জামশেদপুরের অবস্থা ছিল তথৈবচ। তারা প্রায় কোণঠাসাই হয়ে গেছিল এদিনের ম্যাচে। মোহনবাগান বরাবরই তাদের উইং-প্লে কে সঠিকভাবে ব্যবহার করছিল। আর তারই সুবাদে, খেলার ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল টিম অ্যালড্রেড মাটিতে নামিয়ে দেন এবং তারপর জটলার মধ্যে থেকেই গোল করে যান শুভাশিস বোস।

অবশ্য তারপরেও একাধিক সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন কোলাসো এবং জেমি ম্যাকলারেনরা। নাহলে হয়ত প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল সবুজ মেরুনের। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমার্ধেই মোহনবাগানের গোল মুখে শট ছিল মোট ১২টি।

কিন্তু বিপদ বুঝতে পেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একসঙ্গে মোট তিনটি বদল করে বসেন জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিল। সিভেরিও, লেন, মোবাশিরদের নামানোয় তাদের মাঝমাঠ কিছুটা গতি পায়। তাছাড়া উইং ক্রসের পরিমাণও অনেকটা বাড়ে। আর ম্যাচের ঠিক ৬০ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ।

ডিফেন্স থেকে উঠে এসে গোল করে যান এজে। আর তারপরেই মোহনবাগান ডিফেন্সের উপর ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে তারা। পেত্রাতোস নেমে অবশ্য কিছুটা চেষ্টা করলেন। কিন্তু লিস্টনের জোরালো শট সেভ করলেন জামশেদপুর গোলকিপার আলবিনো গোমস। শুধু তাই নয়, আলবার্তোর শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

শেষপর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।