Mohun Bagan Super Giant: ঘরের মাঠে পাঞ্জাব এফসি-কে উড়িয়ে নতুন মরসুম শুরু আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নতুন মরসুমের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি-কে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল সবুজ-মেরুন। ম্যাচের ১০ মিনিটেই প্রথম গোল করেন জেসন কামিংস। আইএসএল-এ অভিষেক ম্যাচেই গোল পেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান অস্ট্রেলিয়ার অপর এক স্ট্রাইকার দিমিত্রিওস পেট্রাটস। গত মরসুমে আইএসএল জেতার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল এই স্ট্রাইকারের। এবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে একমাত্র গোল করেন পেট্রাটসই। এরপর আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচেও গোল পেলেন অস্ট্রেলিয়ার এই স্ট্রাইকার। ৫৩ মিনিটে গ্ল্যান মার্টিন্সের মিস পাস ধরে গোল করে ব্যবধান কমান লুকা ম্যাকেন। এরপর ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে ফেলেছিলেন প্রধান। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ৬৪ মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করে ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিং। এরপর আর পাঞ্জাব এফসি-র পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দাপট ছিল। এটাই ছিল আইএসএল-এ পাঞ্জাব এফসি-র প্রথম ম্যাচ। ডুরান্ড কাপে এই দলটির বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়েছিল সবুজ-মেরুন। এদিনের ম্যাচেও ঠিক সেটাই হল। ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে হুয়ান ফেরান্দোর দল। তার উপর ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ফলে শুরু থেকেই পাঞ্জাব এফসি-কে কোণঠাসা করে দেন কামিংস, পেট্রাটসরা। পাঞ্জাব এফসি আক্রমণে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়াতে পারছিল না। ফলে ম্যাকেন একা পড়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে সহজেই আটকে দিচ্ছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়। 

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য যথেষ্ট লড়াই করে পাঞ্জাব এফসি। ৪৯ মিনিটে গোল করে ফেলেন আশিস। তবে অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ম্যাকেন ব্যবধান কমানোর পর মনে হচ্ছিল পাঞ্জাব এফসি হয়তো সমতা ফেরাতে পারবে। তবে ঠিক সময়ে মনবীর গোল করে দেওয়ায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জয় পেতে সমস্যা হয়নি।

শনিবার আইএসএল-এর অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে সহজেই চেন্নাইয়িন এফসি-কে ২-০ হারিয়ে দিল ওড়িশা এফসি। ৪৫ মিনিটে প্রথম গোল করেন জেরি মাউইমিংথ্যাঙ্গা। ৬৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান দিয়েগো মরিসিও। খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই ম্যাচ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। তবে শেষপর্যন্ত বিপত্তি ঘটেনি।