সংক্ষিপ্ত
আইএসএল-এ ওড়িশার কাছে ফের হার ইস্টবেঙ্গলের। এখনও পর্যন্ত আইএসএল-এ পরপর দুই ম্যাচ জিততে পারল না লাল-হলুদ ব্রিগেড।
বছর শেষ হয়েছিল জয় দিয়ে। ফলে নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন অনেক সদস্য-সমর্থক। তাঁদের ফিরতে হচ্ছে হতাশা নিয়েই। নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। শনিবার আইএসএল-এ ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ১-৩ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গত ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ের নায়ক ক্লেটন সিলভা। তিনি এদিনও অসাধারণ গোল করেন। কিন্তু এগিয়ে গেলে কী হবে! দলের রক্ষণ ও গোলকিপারের উপর যে ভরসা করা যায় না। দিয়েগো মরিসিওকে আটকাতেই পারলেন না লালচুংনুঙ্গা, ইভান গঞ্জালেজরা। এদিনও খুব খারাপ পারফরম্যান্স রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের। গোলকিপার শুভম সেনও মোটেই ভালো খেলতে পারলেন না। তাঁর দোষে গোল খেল দল। ফলে ওড়িশার কাছে ফের হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথম লেগে হোম ম্যাচেও ওড়িশার কাছে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অ্য়াওয়ে ম্যাচেও সেই হারই জুটল।
এদিন ম্যাচের শুরুটা দেখে কিন্তু বোঝা যায়নি এভাবে হেরে যাবে ইস্টবেঙ্গল। অন্য ম্যাচগুলির মতো গুটিয়ে থাকার বদলে আক্রমণে উঠছিলেন অ্যালেক্স লিমা, জেরিরা। শুরুতেই ক্লেটন গোল পেয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল আইএসএল-এ হয়তো প্রথমবার পরপর ২ ম্যাচ জেতার নজির গড়তে পারবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেলেন ক্লেটন, নাওরেম মহেশ সিংরা। লাল-হলুদ রক্ষণে একাধিকবার হানা দেওয়ার পর ২২ মিনিটে কর্নার থেকে নিজের ও দলের প্রথম গোল করে সমতা ফেরান মরিসিও। তাঁর পাশেই ছিলেন লালচুংনুঙ্গা। কিন্তু তিনি গোলের সময় ওড়িশার এই স্ট্রাইকারকে আটকাতে পারেননি। লাল-হলুদ গোলকিপার শুভমও কিছু করতে পারেননি। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষদিকে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ওড়িশা। লেফট উইং থেকে ক্রস করেন নন্দ কুমার। সেই ক্রস সোজা জালে জড়িয়ে যায়। শুভমের উচ্চতা বেশি নয়। তিনি লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। এরপর ৫৩ মিনিটে ওড়িশার হয়ে তৃতীয় গোল করেন মরিসিও।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিনও প্রশ্ন উঠেছে। দল যাতে জয় পেতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত রণকৌশল দেখা যায়নি। শেষদিকে দলের যখন গোল দরকার ছিল, তখন ক্লেটন চোট পেয়ে উঠে যান। সেই সময় স্ট্রাইকারের বদলে ডিফেন্ডার মহম্মদ রাকিপকে নামান স্টিফেন।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের হারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায়, স্টিফেনকে বরখাস্ত করেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই খবরের সত্যতা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন-
২০৪৭-এর মধ্যে এশিয়ার অন্যতম সেরা দল হয়ে ওঠাই লক্ষ্য, তৈরি ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ
পেলের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি, ধিক্কারের মুখে ফিফা প্রেসিডেন্ট
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে বোধহয় এমবাপের ঘুম হচ্ছে না, মন্তব্য সৌরভের