পয়লা বৈশাখ সকালে গড়ের মাঠে বারপুজোর রীতি বহু পুরনো। এবারের নববর্ষেও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবে বারপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আই লিগ থেকেই ইস্টবেঙ্গল ও বেঙ্গালুরু এফসি-র ম্যাচে তীব্র উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে। আইএসএল-এও এই দুই দলের ম্যাচ মানেই দুর্দান্ত লড়াই।
এবারের আইএসএল-এ অন্যতম দুর্বল দল পাঞ্জাব এফসি। এই দলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে পূর্ণ আধিপত্য নিয়ে খেলল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কোনও সমস্যাই হল না।
এবারের আইএস-এ ধারাবাহিকতাই ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় সমস্যা। না হলে হয়তো সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা নিয়ে এত হিসেব-নিকেশ করতে হত না।
আইএসএল-এ বেশ কিছুদিন পর খেলতে নেমে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-কে টেক্কা দিতে পারল না অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের দল।
বিশাল বাজেটের দল গড়েও চলতি মরসুমের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তবে কোচ বদলের পর দলের চেহারা বদলে গিয়েছে।
বড় ম্যাচ যেমন নায়কের জন্ম দেয় তেমনই আবার খলনায়কও তৈরি করে। রবিবার যেমন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গেলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা।
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লড়াইয়ের ইতিহাসে প্রথমবার রাত সাড়ে আটটায় শুরু হচ্ছে ম্যাচ। রাজনৈতিক সমাবেশের জন্যই পিছিয়ে গিয়েছে ম্যাচের সময়।
কলকাতা ডার্বির আর ৪৮ ঘণ্টা বাকি। গড়ের মাঠে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সমর্থকদের লড়াই।
প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতা ডার্বি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গলকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে।