সংক্ষিপ্ত
লিওনেল মেসি এখন ৩৬ বছর বয়সী প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়ে ৩ ব্যালন ডি’অর। রোনাল্ডো ২০১৭ সালে তার পাঁচটি ট্রফির মধ্যে শেষটি জিতেছিলেন। পুরস্কার জেতার পর তিনি বলেন- আমি যে ক্যারিয়ার করেছি তা কল্পনাও করতে পারি না।
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনি নরওয়ের উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় এরলিং হ্যাল্যান্ড এবং ম্যানচেস্টার সিটির তিনবারের বিজয়ী গার্ড মুলারকে হারিয়ে এই সম্মান নিজের ঝুলিতে নেন। ইন্টার মিয়ামির মেসি শেষবার ২০২১ সালে পুরস্কার জিতেছিলেন। গত বছর ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে পরাজিত করার সময় আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছরের মধ্যে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
লিওনেল মেসি এখন ৩৬ বছর বয়সী প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়ে ৩ ব্যালন ডি’অর। রোনাল্ডো ২০১৭ সালে তার পাঁচটি ট্রফির মধ্যে শেষটি জিতেছিলেন। পুরস্কার জেতার পর তিনি বলেন- আমি যে ক্যারিয়ার করেছি তা কল্পনাও করতে পারি না। আমি যা অর্জন করেছি সবকিছুর উর্দ্ধে। বিশ্বের সেরা দল, ইতিহাসের সেরা দলের হয়ে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এই ব্যক্তিগত ট্রফি জিততে পেরে ভালো লাগছে। মেসি বলেছেন- কোপা আমেরিকা এবং তারপর বিশ্বকাপ জেতা তাঁর কাছে জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা।
তিনি বলেন- ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিভিন্ন কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। এর আগে মেসির বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকের লেভ ইয়াশিন পুরস্কার জিতেছিলেন। স্পেনের মহিলা বিশ্বকাপজয়ী এবং বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনামতি মহিলাদের ব্যালন ডি'অর জিতেছেন। মেসি ২০০৯ সালে তার প্রথম ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবার বিজয়ী হন। তিনি আগস্টে উয়েফা পুরস্কারে হ্যাল্যান্ডের পরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
২৩ বছর বয়সী হাল্যান্ড গত মরসুমে সমস্ত প্রতিযোগিতায় ৫৩ বার মাঠে নেমে ৫২টি গোল করার পরে তার প্রথম ব্যালন ডি'অর জেতার অন্যতম দাবিদার ছিলেন। তার দল সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ জিতেছে। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাজিক করার মত পারফরম্যান্সের দৌলতে মেসি সেরা খেলোয়াড়ের জন্য গোল্ডেন বল এবং সিলভার বুট (সাত গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট) জিতেছিলেন। ফলে আর্জেন্টিনার নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার সেবার এই পুরস্কার নিয়ে যান।
বিশ্বকাপই ছিল একমাত্র বড় ট্রফি যা মেসি মিস করেন, কারণ ২০১৪ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনা জার্মানির কাছে হেরে যায়। সেই মার্চে তিনি ইতিহাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করেন। ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার আগে মেসি প্যারিস সেন্ট-জার্মেইর সাথে লিগ ১ শিরোপাও জিতেছিলেন, যেখানে তিনি মেজর লীগ সকার দলকে লীগ কাপ জিততে সাহায্য করেছিলেন।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।