সংক্ষিপ্ত
Mohammedan Sporting: চূড়ান্ত বিপাকে মহামেডান (Mohammedan Sporting Club)। মাইনে বন্ধ খেলোয়াড়দের।
Mohammedan Sporting: ব্যাপক আর্থিক সমস্যা চলছে মহামেডানে। বলা চলে, চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছে খেলোয়াড়রা। শুধুমাত্র ফুটবলাররা নন, বিপাকে পড়েছেন ক্রিকেটাররাও। দীর্ঘদিন ধরে বেতন বন্ধ। কার্যত, রাগে ফুঁসছেন তারা। সাদাকালো ব্রিগেডে যেন আর্থিক সমস্যা মিটছেই না। টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ইনভেস্টর শ্রাচি গ্রুপের (Shrachi Group) সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতাতেই আসতে পারেননি মহামেডান কর্তারা। এমনকি, এফএসডিএল-এর (FSDL) তরফ থেকে যে চিঠি এসে পৌঁছেছে, সেটিরও জবাব দিতে পারেননি তারা। জানা যাচ্ছে, এফএসডিএল-কে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে হবে। নাহলে পরের মরশুমে তারা আইএসএল খেলতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
এখানে আরেকটা কথা জানিয়ে রাখা দরকার। ইতিমধ্যেই এফএসডিএল-কে চিঠি দিয়ে ইনভেস্টর শ্রাচি গ্রুপ জানিয়ে দেয় যে, চুক্তির কথা অনুযায়ী, শেয়ার হস্তান্তর না হওয়ায় আর কোনও দায় নেবে না তারা। শুধু তাই নয়, এফএসডিএল-কে করা সেই ইমেইলে ‘CC’-তে ছিল মহামেডান এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)।
এ তো গেল ফুটবলের দিক। ঠিক একই অবস্থা ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও। দীর্ঘদিন ধরে মাইনে বন্ধ মহামেডান ক্রিকেটারদের। শুধু তাই নয়, একাধিক বৈঠক করেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। যে দল গত মাসে পি.সেন ট্রফির ফাইনালে খেলেছে, সেই দলেরই আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা লাল বলের চ্যাম্পিয়নশিপে নামার কথা। কিন্তু তার আগে রীতিমতো রাগে ফুঁসছেন মহামেডান ক্রিকেটাররা। দিনের পর দিন টাকা বাকি। সূত্রের খবর, একাধিক ক্রিকেটার খেলতেই চাইছেন না।
সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে যে, বারবার ক্রিকেটারদেরকে নাকি ঘোরানো হচ্ছে। কিন্তু টাকা আর দেওয়া হচ্ছে না। শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবের এ কি অবস্থা? তাহলে কি ক্লাব কর্তারা সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না ক্লাব? প্রশ্ন উঠছে এদিক ওদিক থেকে।
শোনা যাচ্ছে, গোটা মরশুমে ক্রিকেটারদের নাকি ১৫-২০% মাত্র পেমেন্ট মিলেছে। সূত্রের খবর, টাকা না পেলে ক্রিকেটাররা নাকি লাল বলের চ্যাম্পিয়নশিপেই নামবেন না বলে জানিয়েছেন। সবথেকে বড় বিষয় হল যে, এই প্রতিযোগিতাতেই গত বছর ফাইনাল খেলে মহামেডান। শুধু তাই নয়, গত ১৫-২০ দিন অনুশীলনও বন্ধ। কার্যত, অচলাবস্থার চূড়ান্ত অধ্যায় চলছে ক্লাবের অন্দরে। তাদের টাকা দেওয়া হবে বলেও নাকি বারবার ঘোরানো হচ্ছে বলা শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ, বিপুল অঙ্কের বেতন বাকি রয়েছে ক্রিকেটারদের।
ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, ইনভেস্টর চলে যাওয়ার পর, ব্যাপক আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে সাদকালো ব্রিগেড। এদিকে মঙ্গলবার, ফুটবল দলের কোচ এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মহামেডান কর্তারা। সেখানে তারা জানিয়েছেন, ফুটবলারদের বকেয়া বেতন নিয়ে নাকি কোনওরকম সমস্যা হবে না। সেটা অবশ্য তারা আগেও বলেছেন।
তবে সামনেই যেহেতু সুপার কাপ রয়েছে, তাই তার আগে অনুশীলনে নামার অনুরোধ করা হয় ফুটবলারদের কাছে। কিন্তু সেই বৈঠকে ফুটবলাররা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে ন্যূনতম একমাসের বেতন এবং দুই মাসের অ্যালাউন্স তাদের দিতেই হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।