সংক্ষিপ্ত

উত্তাল গোটা রাজ্য, স্তম্ভিত সমগ্র দেশ। আর এবার আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ জানালেন ফুটবলার প্রীতম কোটাল। অন্যদিকে, হরিনাভিতে প্রতিবাদে নামলেন দুই প্রধানের সমর্থকরা।

উত্তাল গোটা রাজ্য, স্তম্ভিত সমগ্র দেশ। আর এবার আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ জানালেন ফুটবলার প্রীতম কোটাল। অন্যদিকে, হরিনাভিতে প্রতিবাদে নামলেন দুই প্রধানের সমর্থকরা।

এ যেন কার্যত, দুই মেরুকে এক জায়গায় মিলিয়ে দেওয়া। এইমুহূর্তে কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে নেমেছে গোটা দেশ। এমনকি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ডাক্তাররাও। আর এরই মাঝে কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। এই পরিস্থিতিতে ময়দানের সেই বড় ম্যাচ নিয়ে শনিবার, জরুরি বৈঠকে বসেন ডুরান্ড কমিটির অফিশিয়াল এবং প্রশাসনের কর্তারা। ডুরান্ড কাপে ডার্বির ভবিষ্যৎ নিয়ে এই বৈঠক রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রবিবারের কলকাতা ডার্বি বাতিল। আর এরপরেই কার্যত বাঁধ ভাঙে দুই দলের সমর্থকদের। কারণ, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের বহু সমর্থক ঠিক করেন যে, ডার্বিতে নিজের দলের জয় তো চাইবেনই। কিন্তু একইসঙ্গে এই ডার্বির ভরা গ্যালারি থেকেই আর জি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন এবং বিচার চাইবেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি স্লোগানও উঠে আসে, “দুই গ্যালারিতে একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।” তাহলে কি সেই প্রতিবাদের আগুনকে ভয় পেল প্রশাসন? আর সেই কারণেই, বাঙালির প্রিয় কলকাতা ডার্বিকে এবার বাতিল করল ডুরান্ড কমিটি এবং প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ 

আর জি কর কাণ্ডের জেরে বাতিল কলকাতা ডার্বি, প্রতিবাদের আগুনকে আঁচ করেই কি এই সিদ্ধান্ত?

তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের বার্তা। রবিবার, বিকেল ৫টায় যুবভারতীর সামনে থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন তারা। আর এবার এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাঙালি ফুটবলার প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)।

তাঁর নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি ছবি পোস্ট করেন প্রীতম। সেখানে লেখা রয়েছে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”। সেইসঙ্গে, ক্যাপশনে বলেন “যা হয়েছে তা আমাদের সমাজের জন্য মোটেও সঠিক উদাহরণ নয়। আমরা এই জঘন্য ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।”

অপরদিকে, শনিবারই হরিনাভিতে রাস্তায় নামেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। এই পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। তাদের হাতে দুই দলের পতাকা ছাড়াও ছিল জাতীয় পতাকা। রাস্তায় তারা লেখেন “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”। স্লোগান ওঠে, “ঘটি-বাঙালি একটাই ঘর, জাস্টিস ফর আর জি কর।”

আরও পড়ুনঃ 

'এনাফ ইজ এনাফ, দোষীরা শাস্তি না পেলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে', বিস্ফোরক মীনাক্ষী

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।