সংক্ষিপ্ত
দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক ফুটবল ক্লাবকে ঘিরে ইতিহাস থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
গোটা বিশ্বের সবথেকে বড় হাতে আঁকা টিফো তৈরি করে দেখালেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। ফুটবলের প্রতি আবেগ এবং দলের প্রতি ভালোবাসা, এই দুইয়ের মাহাত্ম্যই যেন আরও একবার প্রমাণিত হল এই ঐতিহাসিক টিফোর (Mohun Bagan Tifo) মধ্য দিয়ে।
আর সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকল কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। শুধু তাই নয়, সাক্ষী রইলেন আপামর মোহনবাগানপ্রেমী জনতা, সমগ্র দেশ এবং পুরো বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে কার্যত ইতিহাস তৈরি করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) ফ্যান ক্লাব ‘মেরিনার্স বেস ক্যাম্প’।
আর সেখানেই ধরা পড়ল সেই ১৯১১ সালের সোনালী ইতিহাস। ঠিক গোলপোস্টের পিছনের বি-৩ স্ট্যান্ড এবং বি-২ গ্যালারি থেকে নেমে এল ২৫০০০ স্কোয়ার ফুটের বিশাল এই টিফো।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ১৯১১ সালে মোহনবাগানের শিল্ডজয়। সেই সময়, গোটা দেশজুড়ে চলছে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন। আর ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রুপরেখাতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল খালি পায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এগারোজন বাঙালির লড়াকু সাফল্য।
সেই ইতিহাসকেই যেন আরও একবার ফিরে দেখা যুবভারতীতে। মেরিনার্স বেস ক্যাম্পের বিরাট এই টিফো তুলে ধরল সেই লড়াইয়ের ইতিহাস এবং কাহিনি। ইংরেজ শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে খালি পায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফুটবল যুদ্ধের প্রস্তুতি। অবশেষে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে পরাজিত করে আইএফএ শিল্ডজয়।
সেই পুরো ইতিহাসই ধরা রইল ঐতিহাসিক এই টিফোতে। সঙ্গে লেখা ছিল, “আমাদের ঐতিহ্য শুধু ইতিহাসের অংশ নয়, বরং ভারতের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে তা জড়িয়ে”। সাধারণতন্ত্র দিবসের ঠিক পরেরদিনই এই টিফো যে আরও একবার দেশাত্মবোধের বার্তা নতুন করে ছড়িয়ে দিল, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।