সংক্ষিপ্ত

এ যেন ফুটবলের মহাযুদ্ধ। দুই দলের তুল্যমূল্য লড়াই দেখল গোটা বিশ্ব। ইউরো কাপের ফাইনালে জার্মানির বার্লিন স্টেডিয়ামে, মুখোমুখি হয় স্পেন বনাম ইংল্যান্ড (Spain vs England Euro 2024)। রুদ্ধশ্বাস এই ফাইনালে, ব্রিটিশ বধ স্পেনের। ২-১ গোলে জয় নিকো-ইয়ামালদের। 

এ যেন ফুটবলের মহাযুদ্ধ। দুই দলের তুল্যমূল্য লড়াই দেখল গোটা বিশ্ব। ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) ফাইনালে জার্মানির বার্লিন স্টেডিয়ামে, মুখোমুখি হয় স্পেন বনাম ইংল্যান্ড (Spain vs England Euro 2024)। রুদ্ধশ্বাস এই ফাইনালে, ব্রিটিশ বধ স্পেনের। ২-১ গোলে জয় নিকো-ইয়ামালদের।

ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চোখে পড়ে (Spain vs England Euro 2024 Live)। একদিকে স্পেনের (Spain) ইয়ামাল (Lamine Yamal) এবং নিকো উইলিয়ামস (Nico Williams) আক্রমণে ঝড় তুলতে থাকেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের (England) বেলিংহ্যাম (Bellingham) এবং হ্যারি কেনরাও (Harry Kane) পাল্টা অ্যাটাকে উঠে আসেন। আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে খেলা বেশ জমে ওঠে।

তবে ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের (Pickford) প্রশংসা করতেই হয়। বেশ কিছু ভালো সেভ করেন তিনি এই ম্যাচে। সেইসঙ্গে, ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকা (Bukayo Saka) মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরির চেষ্টা করতে থাকেন। সবথেকে বড় বিষয়, স্পেন লাগাতার আক্রমণ তুলে আনতে থাকে ইংল্যান্ড টপ বক্সে। একের পর এক অ্যাটাকে কার্যত চাপ বাড়তে থাকে ব্রিটিশ ডিফেন্সের ওপর (স্পেন বনাম ইংল্যান্ড ইউরো ২০২৪)।

তবে সতর্ক ছিলেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। তাই গোলের দরজা খুলতে পারেনি স্পেন। কিন্তু সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের সামনেও। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ডরা। সেইসঙ্গে, স্পেনের দানি অল্মোও (Dani Olmo) বেশ কিছু পজিটিভ সুযোগ তৈরি করেন।

অন্যদিকে, ম্যাচের ৪৩ মিনিটে লাপোর্তে (Laporte) এবং মোরাতা (Morata) জুটির তরফ থেকে একটি ভালো আক্রমণ উঠে আসে। কিন্তু তবুও গোলের মুখ দেখতে পায়নি স্পেন। অপরদিকে, ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার ফিল ফোডেনের (Foden) শট রুখে দেন স্প্যানিশ গোলকিপার সিমন (Simon)।

শেষপর্যন্ত, প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই (স্পেন বনাম ইংল্যান্ড ইউরো ২০২৪ লাইভ)।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই যেন স্প্যানিশ ঝড় ওঠে। কার্যত, হেডস্যার লুইস-দে-লা-ফুয়েন্তের (Luis de la Fuente) পেপটক যেন হুবুহু ফলো করেন দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে, বক্সের ডানদিক থেকে বল ধরে কাট করে ভিতরে ঢুকে আসেন ইয়ামাল এবং বল বাড়ান নিকো উইলিয়ামসের দিকে। আর সেই বল পেয়েই ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশ করে স্পেনকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন নিকো উইলিয়ামস। আবারও সেই ইয়ামাল-নিকো জুটির অনবদ্য গোল দেখল গোটা বিশ্ব।

এই গোলের কিছুক্ষণ পর মোরাতার সামনেও আরও একটি সুযোগ চলে আসে। কিন্তু সেক্ষেত্রে গোল হয়নি। তবে পাল্টা অ্যাটাকে উঠে আসার চেষ্টা করে ইংল্যান্ডও। সাকা বেশকয়েকবার আক্রমণে উঠে আসেন। অন্যদিকে, খেলার ৭০ মিনিটে, ফ্যাবিয়ান রুইজের (Fabiano Ruiz) শট একটুর জন্য বারপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। আর গোল পেয়ে যাওয়ার পর যেন ইয়ামাল এবং নিকো জুটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে, তাদের যোগ্য সঙ্গত করেন দানি অল্মো এবং কুকুরেলা (Cucurella)। এদিকে ডিফেন্সে কার্ভাহাল প্রচুর ওয়ার্কলোড নেন এই ম্যাচে।

তবে খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে, উইং-প্লে ব্যাবহার করে আক্রমণে উঠে আসেন সাকা এবং তারপর বল পান পালমার (Cole Palmer)। তাঁর গোলেই খেলায় সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ফলাফল তখন ১-১।

তবে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে তীব্র আক্রমণ বজায় রাখে স্পেন। ম্যাচের ৮২ মিনিটে, ইয়ামালের শট রুখে দেন ব্রিটিশ গোলকিপার। কিন্তু এই ম্যাচে যেন জিততেই মাঠে নেমেছিল স্পেন। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে, ওইয়ারজাবেলার (Mikel Oyarzabal) গোলে জয় নিশ্চিত করে স্পেন। খেলার একেবারে শেষদিকে দুরন্ত একটি গোললাইন সেভ করেন সেই দানি অল্মো।

শেষপর্যন্ত, রুদ্ধশ্বাস এই ফাইনালে ব্রিটিশ বধ স্পেনের। ২-১ গোলে জয় নিকো-ইয়ামালদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।