সংক্ষিপ্ত
স্পেনের এই ১৬ বছরের তরুণ ফুটবলারের মধ্যে যেন লুকিয়ে রয়েছে দুর্দান্ত এক প্রতিভা। এ যেন এক বিস্ময় বালক। সেই প্রতিভারই ঝলক দেখছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। নাম তাঁর লামিনে ইয়ামাল (Lamine Yamal)
স্পেনের এই ১৬ বছরের তরুণ ফুটবলারের মধ্যে যেন লুকিয়ে রয়েছে দুর্দান্ত এক প্রতিভা। এ যেন এক বিস্ময় বালক। সেই প্রতিভারই ঝলক দেখছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। নাম তাঁর লামিনে ইয়ামাল (Lamine Yamal)
একসময় এ পাড়া থেকে ও পাড়া, ‘সেভেন-এ-সাইড’ ফুটবল খেলে বেড়াতেন তিনি। কিন্তু গত ২০১৪ সালে, তিনি ভর্তি হন বার্সেলোনার বিখ্যাত ফুটবল অ্যাকাডেমি ‘লা-মাসিয়া’-তে। আর তারপর থেকেই যেন বদলে আসতে শুরু করে তাঁর ফুটবল জীবনে।
ছোটবেলা থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় তাঁর ফুটবল প্রতিভা। যার রক্তে ফুটবল, তাঁর পায়ের জাদু আর স্কিল তো বিশ্বকে শাসন করবেই। তার প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়েছিল মাত্র সাত বছর বয়স থেকে। ইয়ামালকে তখন থেকেই চিনতে শুরু করে অলিগলি।
সবথেকে বড় বিষয়, স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯, সব দলের হয়েই খেলে ফেলেছেন ইয়ামাল। এমনকি, জাতীয় দলের হয়েও খেলে ফেললেন ১৩টি ম্যাচ। চলতি ইউরো কাপ (Euro Cup 2024) প্রতিযোগিতায় একের পর এক ম্যাচে নজর কেড়েছেন তিনি।
গোটা মাঠ জুড়ে যেন ফুল ফুটিয়েছেন। তাঁকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা হয়েছে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। সেই ইয়ামালই খেলতে নামছেন নিজের জীবনের অন্যতম বড় মঞ্চে।
ইউরো কাপ ফাইনাল। যে ৯০ মিনিট মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের তাবড় তাবড় ফুটবলাররা, সেই মঞ্চেই কি আজ আবারও একবার নিজেকে প্রমাণ করবেন বিশ্ব ফুটবলের ‘বিস্ময় বালক’? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব।
আর ছেলের এই উত্থানে যেন আরও বেশি আবেগতাড়িত তাঁর বাবা কার্লোস সেরানো। তাঁর কথায়, “আপনারা তো আজ ওকে চিনছেন। আমরা ওকে বড় হতে দেখেছি। আমাদের ছোট সেই ইয়ামাল এখন মহাতারকা।”
সবমিলিয়ে, ইউরো ফাইনালে ইয়ামালের স্কিল দেখতে মুখিয়ে রয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।