সংক্ষিপ্ত
ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার, জার্মানির মিউনিখ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় স্পেন বনাম ফ্রান্স। আর এই ম্যাচে ফরাসি বিপ্লবকে রুখে দিল স্পেনের তরুণ ব্রিগেড। সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ইয়ামালরা।
ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার, জার্মানির মিউনিখ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় স্পেন বনাম ফ্রান্স (Spain vs France Euro 2024)। আর এই ম্যাচে ফরাসি বিপ্লবকে রুখে দিল স্পেনের তরুণ ব্রিগেড। সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ইয়ামালরা।
শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে জমে ওঠে ম্যাচ (Spain vs France Euro 2024 Live)। একদিকে ফরাসি আক্রমণ, আবার কয়েকমুহূর্তের মধ্যেই পাল্টা প্রতি আক্রমণে স্পেন। ফ্রান্সের (France ) এমবাপে (Kylian Mbappe) এবং কোলো মুয়ানি (Randal Kolo Muani) যেন শুরু থেকেই ঝড় তোলেন এই ম্যাচে (স্পেন বনাম ফ্রান্স ইউরো ২০২৪)। আর উল্টোদিকে পাল্টা চাপ বাড়াতে থাকেন স্পেনের (Spain) সেই তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়ামাল (Lamine Yamal)।
কিন্তু খেলার ৯ মিনিটেই, ডেডলক ভাঙে ফ্রান্স। কোলো মুয়ানির গোলে ম্যাচে লিড নেয় ফরাসিরা। খেলার ফলাফল তখন দাঁড়ায় ১-০। কিন্তু স্প্যানিশ ব্রিগেড যেন কিছুতেই হাল ছাড়ার পাত্র নয়। বরং তরুণ এবং প্রাণচঞ্চল স্পেন ক্রমাগত প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে।
ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায়, সেই ইয়ামালের দুরন্ত বাঁক খাওয়া শট ফরাসি গোলকিপার ম্যাইগনানকে (Maignan) পরাস্ত করে সোজা জালে জড়িয়ে যায়। চেষ্টা করেও গোল আটকাতে পারেননি তিনি। আর এই গোলের সুবাদেই খেলায় সমতা ফেরায় স্পেন। তবে সেখানেই শেষ নয়।
খেলার ২৫ মিনিটে আবার গোল। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি অল্মোর (Dani Olmo) শট প্রতিহত করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ফ্রান্সের রক্ষণভাগের (Defence) খেলোয়াড় কৌন্ডে (Jules Kounde)। সেইসঙ্গে, স্পেন ম্যাচে লিড নেয় ২-১ ব্যবধানে।
খেলায় এগিয়ে যেতেই আরও জাঁকিয়ে বসে স্পেন। বলা যেতে পারে, ক্রমশই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে তারা। বাঁদিক দিয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন নিকো উইলিয়মাস (Nico Williams)। শেষপর্যন্ত, ফার্স্ট হাফে আর কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১ ফলাফল নিয়েই (স্পেন বনাম ফ্রান্স ইউরো ২০২৪ লাইভ)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের আক্রমণে ঝড় তোলে স্পেন। এক্ষেত্রে লাপোর্তে (Laporte) বড় ভূমিকা নেন। তবে খেলায় সমতা ফেরানোর চেষ্টা জারি রাখে ফ্রান্স। ডেম্বেলে (Dembele) মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরির চেষ্টা করেন বেশকয়েকবার।
অন্যদিকে, ম্যাচের ৫৮ মিনিটে স্পেন দলে একটি পরিবর্তন হয়। জেসাস নাভাসের (Jesus Navas) বদলে মাঠে আসেন ভিভিয়ান (Vivian)। সেইসঙ্গে, ফরাসি দলে একসঙ্গে তিনটি বদল আনেন কোচ। র্যাবিয়ট, কান্তে এবং কোলো মুয়ানিকে তুলে মাঠে নামান বারকোলা, গ্রিজম্যান এবং ক্যামাভিঙ্গাকে।
অপরদিকে, খেলার একেবারে শেষদিকে ফের একবার ইয়ামাল দূরপাল্লার শট নেন। কিন্তু তা একটুর জন্য বাইরে যায়। সেইসঙ্গে খেলার ৮৫ মিনিটে, এমবাপের জোরালো শট বারপোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে চলে যায়। তবে যতই খেলা শেষের দিকে এগোয়, ততই যেন আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় স্পেন।
আর অপরদিকে একাধিক আক্রমণ তৈরি করলেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। এমনকি, ডেম্বেলেকে তুলে নিয়ে অলিভার জিরুকে নামিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত, ফ্রান্সকে রুখেই দিল স্পেনের তরুণ ব্রিগেড। সেইসঙ্গে, ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে চলে গেলেন ইয়ামালরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।