সংক্ষিপ্ত
তাঁর স্কিলের জাদুতে মজেছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। ইউরো কাপের ((Euro Cup 2024) মঞ্চে ইতালিকে কার্যত পর্যদুস্ত করে জয় পেয়েছে স্পেন। আর সেই দলেরই উইঙ্গার তথা স্পেনের বিস্ময় ফুটবলার নিকো উইলিয়ামসকে (Nico Williams) ঘিরে যেন ক্রমশই তৈরি হচ্ছে উৎসাহ এবং আকাঙ্খা।
তাঁর স্কিলের জাদুতে মজেছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। ইউরো কাপের ((Euro Cup 2024) মঞ্চে ইতালিকে (Italy) কার্যত পর্যদুস্ত করে জয় পেয়েছে স্পেন। আর সেই দলেরই উইঙ্গার তথা স্পেনের বিস্ময় ফুটবলার নিকো উইলিয়ামসকে (Nico Williams) ঘিরে যেন ক্রমশই তৈরি হচ্ছে উৎসাহ এবং আকাঙ্খা।
সেদিন ম্যাচ (Spain vs Italy Euro 2024) সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে নিকো জানান “মাকে এতদিন পর মনের মতো একটা গিফট দিতে পারলাম।” মা, এই শব্দটির সঙ্গে জুড়ে আছে এক অদ্ভুত মায়া। আর এক্ষেত্রে তাঁর মা মারিয়া না থাকলে, ২১ বছরের নিকো শেষপর্যন্ত ফুটবলার হতে পারতেন কি না সন্দেহ।
জীবন সংগ্রামের সঙ্গে লড়ে চলা সেই মারিয়া উইলিয়ামসও কি ৩১ বছর আগে ভাবতে পেরেছিলেন যে, তাঁর সন্তান নিকো উইলিয়ামস একদিন বিশ্ব ফুটবল মাতাবে? স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলের (Spain Football Team) জার্সিতে ইউরো কাপে (UEFA Euro 2024 Live Updates) খেলছেন নিকো। কিন্তু জন্মসূত্রে তিনি স্পেনের নন। তাঁর জন্ম হয় ঘানায় (Ghana)।
আজ থেকে ৩১ বছর আগে, ঘানা ছেড়ে স্পেনে আসেন তিনি এবং তাঁর মা মারিয়া উইলিয়ামস। যদিও প্রথমে মারিয়া ভেবেছিলেন যে, ইংল্যান্ড (England) চলে যাবেন। কিন্তু স্পেনে জীবনযাপনের খরচ তুলনামূলক কম বলে, শেষপর্যন্ত সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তারপর থেকেই স্পেনের বিলবাওয়ে থাকতে শুরু করে উইলিয়ামস পরিবার। নিকো উইলিয়ামসরা দুই ভাই। ইনাকি উইলিয়ামস এবং নিকো উইলিয়ামস। দুজনেই এখন স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের (Athletic Club) হয়ে খেলেন।
ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে, ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ডি লরেঞ্জোকে (Giovanni Di Lorenzo) বেশ কয়েকবার ড্রিবল করে বেরিয়ে যান নিকো উইলিয়ামস। শুধু তাই নয়, পেড্রির (Pedri) জন্য একটি দুরন্ত হেডারও সেট আপ করে দেন তিনি। নিকোকে আটকাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় ইতালিয়ান ডিফেন্সকে।
বিরতির (UEFA Euro 2024 Live Updates) পর ক্যাম্বিয়াসো (Andrea Cambiaso) এবং ডি লরেঞ্জোকে মিলেও আটকাতে পারেননি এই স্পেনের এই বিস্ময় ফুটবলারটিকে। দুজনকে ধরাশায়ী করে বারবার ইতালির বক্সে হানা দেন নিকো উইলিয়ামস। ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ হেডস্যার লুইস দে লা ফুয়েন্তে (Luis de la Fuente) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিলাম যে, আমাদের খেলোয়াড়রাই বিশ্বসেরা। কী অসামান্য এক ফুটবল প্রজন্ম এসেছে আমাদের স্পেনে।”
সবমিলিয়ে, স্পেনের এই বিস্ময়বালককে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ
Euro Cup 2024: 'তরুণ তুর্কি' ভেঙে দিলেন রোনাল্ডোর রেকর্ড, কে এই ‘তুরস্কের মেসি?’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।