সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বাংলার ক্লাবগুলিকে সাহায্য করেন। গড়ের মাঠের ৩ প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিংকেও সাহায্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়ে অনেক মোহনবাগান সমর্থকই অখুশি ছিলেন। এটিকে এফসি-র সঙ্গে সংযুক্তিকরণের গোড়া থেকেই নাম নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁদের। আইএসএল ফাইনালের পর আর কারও সেই আপত্তির জায়গা নেই। এটিকে মোহনবাগানের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষণা করেছেন, আগামী মরসুম থেকে ক্লাবের নাম হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। এরপর রবিবার দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে নিজের বাড়িতে দলের সবাইকে পাশে নিয়ে গোয়েঙ্কা জানান, মরসুমের শুরুতেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন, দলের নাম বদল করবেন। দল আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আনন্দের মুহূর্তে সেই ঘোষণা করলেন। সোমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মোহনবাগানের নামের আগে থেকে এটিকে সরে যাওয়ায় তিনিও খুশি হয়েছেন। এটিকে নাম নিয়ে তাঁরও আপত্তি ছিল। তিনি এটিকে নাম সরানোর উদ্যোগ নেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিন মোহনবাগান মাঠে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাবটা কিন্তু মোহনবাগান, এটিকে মোহনবাগান না। আমি অরূপকে (ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস) বললাম, এটিকে-ফেটিকে শুনতে ভালো লাগে না। তাড়াতাড়ি সরিয়ে দাও। আমি ভোরবেলা স্বপ্ন দেখেছিলাম আইএসএল জিতছে মোহনবাগান। অরূপ টেনশন করে যেতে ভয় পাচ্ছিল। আমিই ওকে জোর করে গোয়া পাঠাই।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'একদিন সারা পৃথিবী আপনাদের দরজায় আসবে, আপনাদের স্বাগত জানাবে। আমরাও হয়তো সেদিন থাকব। আর যদি না-ও থাকি মনে রাখবেন, এই যে মোহনবাগান ক্লাবটা সুন্দর করে গড়ে দেওয়া, আলোর ব্যবস্থা, সবই আমরা করে দিয়েছি। আমাদের সরকার আসার পর থেকে তিনটি ক্লাবকেই সাহায্য করেছি। আমি আজ আপনাদের সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য এবং মোহনবাগান ক্লাবের আরও উন্নতির জন্য আরও  ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে যাচ্ছি। অরূপকে বলব টাকাটা পাঠিয়ে দিতে।'

এদিন মোহনবাগান মাঠে কোচ-ফুটবলারদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরেও উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি সমর্থকদের দিকেও বল ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর প্রয়াত মা-ও মোহনবাগানের সমর্থক ছিলেন। মোহনবাগানের খেলা থাকলে পুজো দিতেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই এখন মোহনবাগানের অন্যতম কর্তা। অপর এক ভাই আবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে ময়দানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও খেলা ভালোবাসেন। তাঁকে প্রায়ই খেলার মাঠে দেখা যায়। এদিনও ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গেল।

আরও পড়ুন-

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফিরল মোহনবাগান দল, বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস সমর্থকদের

প্রীতম কোটালকে জাতীয় দলে ডাকতে বাধ্য হলেন, প্রস্তুতিতে খুশি নন স্টিম্যাচ

পরবর্তী লক্ষ্য সুপার কাপ, আগামী মরসুমে আরও শক্তিশালী দল হবে, জানালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা