সংক্ষিপ্ত

যন্তর মন্তরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করেছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়ারা। দীর্ঘদিন কোনও প্রতিযোগিতায় যোগ দেননি তাঁরা। অনুশীলন করার সুযোগও পাননি তাঁরা।

অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার পক্ষ থেকে সব দেশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যেই এশিয়ান গেমসের জন্য ক্রীড়াবিদদের নাম পাঠাতে হবে। নাম পাঠানোর শেষ দিন বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া। ফলে ৩০ জুনের আগেই যাবতীয় ট্রায়াল শেষ করতে হবে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া। তাঁরা প্রস্তুতির জন্য দেড় মাস সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় পাচ্ছেন না। ফলে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই ট্রায়ালে নামতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যান্য কুস্তিগীররা ভালোভাবে তৈরি হয়েই ট্রায়ালে নামছেন। ফলে সাক্ষী, ভিনেশ, বজরংয়ের পক্ষে এশিয়ান গেমসের যোগ্যতা অর্জন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের লড়াই অত্যন্ত কঠিন। 

চিনের হাংঝাউয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস। শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি হয়ে ট্রায়ালে নামতে চান বলে আগস্টে ট্রায়ালের ব্যবস্থা করার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানিয়ছিলেন সাক্ষীরা। সেই অনুযায়ী অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হচ্ছে না। কারণ, ৪৫টি দেশের ক্রীড়াবিদরা এশিয়ান গেমসে যোগ দিচ্ছেন। ৪০টি আলাদা খেলা রয়েছে। সেই কারণেই ক্রীড়াবিদদের নাম পাঠানোর চূড়ান্ত দিন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বড়জোর ৪-৫ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যেতে পারত। কিন্তু ৪০-৪৫ দিন সময় দেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে অন্য কোনও খেলার ক্ষেত্রে ট্রায়ালের দিন বাড়ানোর ব্যাপার নেই। শুধু কুস্তির ক্ষেত্রেই কয়েকজনের জন্য সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণেই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে না অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া।

ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেছেন, ‘অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়াকে যদি একটি দেশের অনুরোধ মানতে হয়, তাহলে বাকি দেশগুলিও একই অনুরোধ জানাতে পারে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস। ফলে ট্রায়াল দেড় মাস পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা পাঠাতে হবে। ফলে জুনের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করতে হবে।’

গত কয়েক মাস কোনও প্রতিযোগিতায় যোগ দেননি ভিনেশ, সাক্ষী, বজরংরা। তাঁরা ঠিকমতো অনুশীলনও করেননি। তাছাড়া দীর্ঘদিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করার ফলে শরীরে ধকল পড়েছে। এই অবস্থায় ট্রায়ালে ভালো পারফরম্যান্স দেখানো অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে।

আরও পড়ুন-

প্রথম ভারতীয় হিসেবে এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে পদক ভবানী দেবীর

কোচিং কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত, ইন্দোনেশিয়া ওপেনে ডাবলস ফাইনালের পর এশিয়ানেটকে বললেন গোপীচাঁদ

PV Sindhu: র‍্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু