সংক্ষিপ্ত

প্যারিস অলিম্পিক্সের বাকি আর এক বছর। তার আগে ভারতের মহিলা বক্সারদের ফর্ম আশা জাগাচ্ছে। বক্সাররা যদি ফর্ম বজায় রাখতে পারেন, তাহলে অলিম্পিক্স থেকে পদক আসতেই পারে।

অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে মহিলাদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন ভারতের নিতু ঘানঘাস। শনিবার ৪৮ কেজি বিভাগের ফাইনালে নিতু উড়িয়ে দেন মঙ্গোলিয়ার লুৎসাইখান আলতানৎসেৎসেগকে। ভারতীয় বক্সারের পক্ষে ম্যাচের ফল ৫-০। এর আগে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন নিতু। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দেন। দেশকে এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রথম সোনা এনে দিলেন নিতু। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিয়ে তিনি সাফল্য পাননি। কিন্তু এবার শুরু থেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান নিতু। সেমি ফাইনালে কাজাকস্তানের আলুয়া বলকিবেকোভাকে ৫-২ ফলে হারান নিতু। এরপর ফাইনালে সহজেই জয় পেলেন তিনি। ফাইনালের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন এই ভারতীয় বক্সার। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলতে নেমে বিন্দুমাত্র স্নায়ুর চাপে ভোগেননি তিনি। প্রথম রাউন্ডে আলতানৎসেৎসেগ কয়েকটি পাঞ্চ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম দুই রাউন্ডে এগিয়ে যাওয়ার পর আর নিতুকে থামাতে পারেননি মঙ্গোলিয়ার বক্সার। বিচারকরা সর্বসম্মতভাবে নিতুকে জয়ী ঘোষণা করেন।

এদিন নিতু ও আলতানৎসেৎসেগ দু'জনকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন রেফারি। শেষ ৩০ সেকেন্ডে দু'টি পাঞ্চ করেন নিতু। এর ফলে তাঁর জয় সহজ হয়। যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবেই জয় পেয়েছেন নিতু। সারা প্রতিযোগিতায় তিনি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছেন। 

এবারের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সার কাং ডোয়েনকে হারিয়ে দেন নিতু। এরপর ২২ বছরের এই ভারতীয় বক্সার দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়ে দেন তাজিকিস্তানের কাসিমোভা সুমাইয়াকে। কোয়ার্টার ফাইনালে নিতুর কাছে হার মানতে বাধ্য হন জাপানের ওয়াডা মাডোকা। এরপর সেমি ফাইনালেও সহজ জয় পান নিতু। ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেলেন তিনি।

ষষ্ঠ ভারতীয় মহিলা বক্সার হিসেবে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন নিতু। তাঁর আগে এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন এমসি মেরি কম, লাইশরাম সরিতা দেবী, জেনি আর এল, লেখা কে সি ও নিখাত জারিন।

২০০০ সালের ১৯ অক্টোবর হরিয়ানায় জন্ম নিতুর। ছোটবেলায় বাড়িতে ভাই-বোনেদের সঙ্গে, স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মারপিট করতেন তিনি। সেই কারণে মেয়েকে শান্ত করতে বক্সিংয়ে ভর্তি করে দেন বাবা জয় ভগবান। তাঁর এই সিদ্ধান্তই নিতুর জীবন বদলে দেয়। ১২ বছর বয়স থেকে বক্সিং প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন নিতু। শুরুতে সাফল্য না পেলেও, পরবর্তীকালে দুর্দান্ত সাফল্য পাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন-

মহিলাদের ইভেন্টে যোগ দিতে পারবেন না লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা, ঘোষণা বিশ্ব অ্যাথেলিটক্স সংস্থার

ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি, পিটি ঊষাকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি

জাতীয় মহিলা টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়ন শ্রীজা আকুলার সঙ্গে, টেবল টেনিসের টক্কর কিরেন রিজিজুর