সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন ভিনে ফোগট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। তাঁদের দাবি, ব্রিজভূষণকে শাস্তি দিতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্ট আগেই চার্জশিট দায়ের করেছিল, এবার সমন পাঠাল দিল্লির রাউজ অ্যাভেনিউ কোর্ট। ১৮ জুলাই হাজিরা দিতে হবে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক নাবালিকা কুস্তিগীরকেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলাতেই ব্রিজভূষণকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ ও নজরদারি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ১৫ জুন চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফলে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হচ্ছে ব্রিজভূষণকে।
এফআইআর দায়ের হলেও, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজভূষণ। কিন্তু ভিনেশ, সাক্ষীরা ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব। রাস্তায় নেমে আন্দোলন না করলেও, বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন কুস্তিগীররা। আদালত ব্রিজভূষণকে সমন পাঠানোয় খুশি কুস্তিগীররা। তাঁদের আশা, এবার ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্রিজভূষণের ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করবেন এবং আদালতে হাজিরাও দেবেন কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন। সেই আন্দোলন কিছুদিন পর স্থগিত হয়ে গেলেও, এপ্রিলে ফের শুরু হয় বৃহত্তর আন্দোলন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী, কৃষক সংগঠনের নেতারা, ক্রীড়াবিদ, সাধারাণ মানুষ এই আন্দোলন সমর্থন করেন। বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। যন্তর মন্তর থেকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভিনেশ-সাক্ষীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। সারা দেশে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এরপর কুস্তিগীরদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেই বৈঠকের পর কুস্তিগীররা জানান, তাঁরা আপাতত আর রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন না। তবে ন্যায়বিচার না পাওয়া গেলে ফের আন্দোলন হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ বেশ প্রভাবশালী। ফলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন বা ভয় দেখাতে পারেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজভূষণ। তাঁর দাবি, তিনি নির্দোষ। তবে এখন এই মামলা আদালতের বিচারাধীন। রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টই বিচার করবে। এরপর উচ্চতর আদালতেও গড়াতে পারে এই মামলা।
আরও পড়ুন-
আর রাস্তায় নেমে আন্দোলন নয়, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই, বার্তা কুস্তিগীরদের
Mann Ki Baat by PM Modi: মন কি বাত-এর ১০২তম পর্বে ভারতের কুস্তিগিরদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করলেন মোদী
PV Sindhu: র্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু