সংক্ষিপ্ত
- গোলাপি বলের লড়াইয়ে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা
- গোলাপি বলের দ্বৈরথে নামতে তৈরি কোহলিরা
- উইকেটরক্ষক ঋদ্ধির চিন্তায় গোধূলির আলো
- সামি প্রশংসায় পঞ্চমুখ ঋদ্ধিমান সাহা
ভারতীয় ক্রিকেটে গোলাপি বিপ্লব ২২ নভেম্বর থেকে। তাঁর আগে পিঙ্ক বলেই মজে আছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বুধবার সেই সঙ্গে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুশীনও শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দুই দলই এবার নতুন ভাবে নয়া বলে খেলবে পিঙ্ক বলের টেস্ট। আর তার আগে সেই সব নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনাও। ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে ইডেনে। কিছু বছর আগে প্রথম পিঙ্ক বলে সিএবির ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এবার ঘরের ছেলে গ্লাভস হাতে ঘরের মাঠেই জাতীয় দলের হয়ে নামবেন উইকেটরক্ষকের গ্লাভস হাতে। তাই ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে খেলার ৪৮ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক বৈঠকে পাঠানো হল পাপালিকে। তবে কোনও রকম ভয় নয়। গোলাপি বল নতুন হলেও সব কিছুর জন্য তৈরি ভারতীয় দল, এমনটা বুধবার স্পষ্ট করে দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা।
উইকেটকিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে গোলাপি বলের কারণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে ঋদ্ধিকে। গোলিপ বলে সুইং বেশি করে গোলাপি বল। একই সঙ্গে বলের পালিশ বেশি থাকায় রিভার্স সুইংয়েও অসুবিধা হবে বলে মনে করেন ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক। ঋদ্ধিমান বলেন, 'ভারতীয় দল প্রস্তুত। মাঠে অনেক রকমের পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে পারে দল। সেটা নিয়ে ভাবতে নারাজ। বল বেশি সুইং করে ঠিকই। তবে সেটা উইকেটের ওপর ও বোলারের ওপর নির্ভর করছে। নতুন কিছুই নয়।' এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তবে গোধূলিতে এই বলে কিছু অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন ঋদ্ধি। তিনি আরও বলেন, 'গোধুলিতে সাদা বল সাদাই দেখা যায়। তবে পিঙ্ক বল নৈশালোকে কেমন লাগবে সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। সেটাই এখন দেখার। আগে খেলার সময় এটা একটু সমস্যা হেয়ছিল। একটু চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে আমি তৈরি সব রকমের সমস্যা ঠিক করে নিতে।'
এই ম্যাচ হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশের। কলকাতায় এই টেস্ট হওয়ায় বাঙালিদের মধ্যে রয়েছে একটি আলাদা উত্তেজনা। একই সঙ্গে ওপার বাংলা খেলতে এসেছে ইডেনে। তাই কিছুটা হলেও আবেগের একটা ব্যাপার থাকছে কলকাতায়। দুই দেশের জাতীয় সংগীতও লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। সেটা কি বাঙালিদের জন্য একটা অন্যরকমের বিষয়? সেই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি বলেন, 'এটা সাধারণ মানুষের জন্য হতে পারে। তবে আমরা যখন খেলছি ভারতীয় হিসেবে খেলছি। ভারত আমাদের কাছে আগে তারপর বাকি জিনিস।' অপরদিকে, দলের সতীর্থ মহম্মদ সামিকে নিয়েও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন ঋদ্ধি। লাল বল হোক বা সাদা বা গোলাপি। সব ফরম্যাটেই সামি এখন সেরা বলে মনে করছেন ঋদ্ধি।