কানপুর দেহাতের রাজপুর কসবায় এক গেস্ট হাউসে তখন হুলস্থুল কাণ্ড বাধল যখন কনে ছেলেটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালেন। বিয়ের আনন্দ মুহূর্তেই হুলস্থুলে পরিণত হল।

উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে এক অভূতপূর্ব ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের আনন্দ মুহূর্তেই হুলস্থুলে পরিণত হল। জয়মালা এবং চড়াওয়ের রীতি সম্পন্ন হওয়ার পর কনে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালেন। এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি জপুর থানা এলাকার নীরজ গার্ডেন গেস্ট হাউসের।

কি ঘটেছিল?

ভোগনীপুর তহশিলের ঢিচকি গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ কাটিয়ার তার মেয়ে কীর্তির বিয়ে সিকান্দ্রা তহশিলের কোরওয়া গ্রামের ডাক্তার রাহুল কাটিয়ারের সাথে ঠিক করেছিলেন। বরের বাবা রমেশ কাটিয়ার জানিয়েছেন, ৭ ফেব্রুয়ারি মুগীংসাপুরের বাড়িতে তিলক অনুষ্ঠান ধুমধাম করে সম্পন্ন হয়েছিল, যেখানে কনে পক্ষ ৯ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি সোনার চেইন উপহার দিয়েছিল। রাতভরের রীতি-নীতির পর সকালে যখন ফেরের পালা আসে, তখন হঠাৎ কনের অসুস্থতার কথা বলে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে বর পক্ষ ভেবেছিল এটি একটি সাময়িক বিঘ্ন, কিন্তু কিছুক্ষণ পর কনে পক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে কনে আর এই বিয়ে করতে চান না।

কনের সিদ্ধান্ত শুনে বরের ধাক্কা

এই সিদ্ধান্তে বর এবং তার পরিবারের ধাক্কা লাগে। তারা বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কনে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অবশেষে, বর পক্ষকে বিনা বিয়েতেই বরযাত্রী ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এই ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে এবং দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আগেই বিবাহিত ছিলেন কনে

৮ ফেব্রুয়ারি বরযাত্রী ধুমধাম করে নীরজা গার্ডেন রাজপুরে পৌঁছায়। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং রাত ১২টায় জয়মালার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এরপর চড়াওয়ের রীতিতে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার গহনা এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়। এরপর বিয়েতে অনেক সময় লাগে। বর পক্ষ কারণ জানতে চাইলে কনে জানান যে তিনি তার জামাইবাবুর সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজ করেছেন। এই কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে যায়।

রাজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসও) দীনেশ কুমার গৌতম জানিয়েছেন, রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিবাদের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে বর-কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল, যা থামানোর চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে, কোনও পক্ষই পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ (তহরির) দেয়নি।