মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৭৩ টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে মহাকুম্ভে সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রদূতরা সঙ্গমে স্নান করেছেন এবং অক্ষয়বট, হনুমান মন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। যোগী তাদের মহাকুম্ভ এবং প্রয়াগরাজের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের ৭৩ টি দেশের শতাধিক রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলেছেন। মহাকুম্ভ নগরস্থিত পুলিশ লাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের মহাকুম্ভ এবং প্রয়াগরাজের মাহাত্ম্য সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ভারতের অধিকাংশ তীর্থ গঙ্গা তীরেই অবস্থিত। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে পবিত্র স্থান ভ্রমণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি প্রয়াগরাজে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, তাদের সকলের এই ভ্রমণ অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যখন তারা এখান থেকে ফিরে যাবেন, তখন নিজেদের সাথে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন।

নিজের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব মহাকুম্ভকে কৌতূহলের দৃষ্টিতে দেখছে। আপনাদের সকলের এখানে আসা আমাদের আনন্দিত করে। মহাকুম্ভের এই উৎসব আমাদের সকলকে আনন্দ দেয়। মা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলীতে অবস্থিত প্রয়াগরাজ বিশ্বের প্রাচীন নগরী। তিনি বলেন, মহাকুম্ভ ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এখানে এসে সঙ্গম স্নান করেছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫ কোটি মানুষের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই উপলক্ষে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরাও তাদের অভিজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সামনে শেয়ার করেন।

ত্রিবেণী সংকুলে বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়। ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষাৎকার করতে ৭৩ টি দেশের রাষ্ট্রদূত প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে যোগ দেন। বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মের সবচেয়ে বড় সমাবেশ মহাকুম্ভে রাষ্ট্রদূতদের প্রথমে আড়াইল এলাকায় অবস্থিত ত্রিবেণী সংকুলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানানো হয়। সেখান থেকে সকল রাষ্ট্রদূতকে জেটি নৌকাযোগে পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গম দর্শন করানো হয়। তাদের দেশের সনাতন সংস্কৃতি এবং তাতে পবিত্র সঙ্গম ও মহাকুম্ভের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়। কিছু দেশের রাষ্ট্রদূত সঙ্গমে পবিত্র স্নান এবং গঙ্গাজল পান করেন। একে জীবনের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেন।

অক্ষয়বট এবং বড় হনুমানের দর্শন করেন। সঙ্গম স্নানের পর সকল রাষ্ট্রদূত উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের বিলাসবহুল বাসে মহাকুম্ভ মেলার ভ্রমণ করেন এবং অক্ষয়বট করিডোর এবং বড় হনুমান মন্দির দর্শন করেন। অক্ষয়বট করিডোরে রাষ্ট্রদূতদের সরস্বতী কূপও দেখানো হয়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদী, বৃক্ষ পূজার ঐতিহ্য এবং তাদের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব জেনে অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। হনুমান মন্দির দর্শন করে রাষ্ট্রদূতদের কাফেলা মেলা এলাকায় অবস্থিত পুলিশ লাইনের সভাগৃহে পৌঁছায়। সভাগৃহে রাষ্ট্রদূতদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাক্ষাৎ করেন। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না, নগর উন্নয়ন মন্ত্রী অরবিন্দ কুমার শর্মা এবং প্রয়াগরাজের বিধায়ক সিদ্ধার্থনাথ সিং সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।