সংক্ষিপ্ত

মহাকুম্ভে ভয়াবহ ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যুতে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা।

মহাকুম্ভের মর্মান্তিক ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, "অত্যধিক ভিড় এবং বেরিকেড ভেঙে পড়ার কারণে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।" মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিন সদস্যের একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশনের সভাপতি হবেন প্রাক্তন বিচারপতি হর্ষ কুমার, প্রাক্তন ডিজি ভি.কে. গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ডি.কে. সিং কে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত করবে এবং কারণগুলির গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হবে। বৃহস্পতিবার মুখ্য সচিব এবং ডিজিপিও প্রয়াগরাজ গিয়ে ঘটনার পর্যালোচনা করবেন।

মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ

মুখ্যমন্ত্রী ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "প্রশাসন বেশ কয়েক দফায় পর্যালোচনা বৈঠক করেছিল, তবুও এই ঘটনা কীভাবে ঘটল? এর গভীর তদন্ত হবে।" সরকার মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ারও ঘোষণা করেছে। এছাড়াও মুখ্য সচিব এবং ডিজিপিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী যোগী

ঘটনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, "এত প্রস্তুতির পরেও এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে।" তিনি বলেন যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকেই প্রচুর সংখ্যক ভক্ত প্রয়াগরাজ পৌঁছে স্নান করছিলেন এবং ব্রাহ্ম মুহূর্তের অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় অখাড়া পথে সঙ্গম তীরে এই ঘটনা ঘটে। অত্যধিক ভিড়ের কারণে আখাড়া পথের বেরিকেড ভেঙে পড়ে এবং তারপর সেখান থেকে লাফিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৬ জন আহতের প্রয়াগরাজে চিকিৎসা চলছে। বাকি আহতদের তাদের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।

ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজন

মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন যে প্রয়াগরাজে বুধবার ৮ কোটিরও বেশি মানুষের ভিড় ছিল। যদিও আশেপাশের জেলা মির্জাপুর, ভাদোহি, প্রতাপগড়, ফতেহপুর, কৌশাম্বীতে হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করে ভক্তদের ভিড় সামলানোর ব্যবস্থা হয়েছিল, যাদের অখাড়ার অমৃত স্নান শেষ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রেল স্টেশনগুলিতেও ভিড় চলছিল। রেলওয়ে এই সময় রুটিন এবং মেলা স্পেশাল মিলিয়ে প্রায় ৩০০ টিরও বেশি ট্রেন চালিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পরিবহন নিগমও ৮০০০ টিরও বেশি বাস চালিয়েছে। এই সমস্ত ঘটনা মর্মাহত করার পাশাপাশি একটি শিক্ষাও, তবে ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধানেরও প্রয়োজন।