সংক্ষিপ্ত
প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আশ্বস্ত করেছেন যে সরকার পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যোগী বলেছেন, ‘এই ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের শোকে আমরা শরিক। গত রাত থেকে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় আসতে শুরু করেন। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ৯০ জনেরও বেশি আহত হন এবং ৩০ জন প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে ৩৬ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।’
তদন্তের নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ সরকারের
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। 'বিচারক হর্ষ কুমার, প্রাক্তন ডিজি ভি কে গুপ্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ডি কে সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন বিষয়টি তদন্ত করবে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে,' জানিয়েছেন যোগী। তাঁর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ একাধিক নিরাপত্তাবাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী তাঁর প্রধান সচিব এবং পুলিশের ডিজিপি-কে পরিস্থিতি তদারকি করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রয়াগরাজ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রয়াগরাজে ঠিক কী হয়েছিল?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোটি কোটি পুণ্যার্থী মৌনী অমাবস্যায় ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে মহাকুম্ভে জড়ো হয়েছিলেন। আখড়া মার্গে জনতার একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রিন করিডোর তৈরি করে প্রশাসন। যোগী জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, অনেককে বাঁচানো যায়নি। এটি কুম্ভের সবচেয়ে বড় স্নানের দিনগুলির একটি ছিল। অসংখ্য ভক্তের আগমনের কারণে রাস্তাগুলিতে যানজট হয়ে গিয়েছিল এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল। আমরা সারাদিন বৈঠক করেছি, আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ কার্যক্রম নিশ্চিত করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
১৯৫৪-২০২৫: কুম্ভমেলায় ৫টি বড় দুর্ঘটনা, ৮০০ জনের মৃত্যু, দেখে নিন এক ঝলকে