সংক্ষিপ্ত
২০২৫ সালের মহাকুম্ভের প্রথম স্নানপর্বে ভক্তদের উপর হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি। গোলাপের পাপড়িতে ভরে উঠল সঙ্গম। শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে ভক্তরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিলেন।
২০২৫ সালের মহাকুম্ভের প্রথম স্নানপর্ব পৌষ পূর্ণিমা স্নানের দিন সোমবার সঙ্গম তীরে ডুব দিতে আসা ভক্তদের উপর যোগী সরকার হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টির আয়োজন করে। হেলিকপ্টার থেকে সমস্ত ঘাট এবং আখড়ায় স্নানের সময় ভক্তদের উপর ফুলের বৃষ্টি হয়। গোলাপের পাপড়ির বৃষ্টি দেখে সঙ্গম তীরে উপস্থিত ভক্তরা অভিভূত হয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন।
মহাকুম্ভ মেলা এলাকায় ভক্তদের উপর স্নানপর্ব উপলক্ষে পুষ্পবৃষ্টির জন্য যোগী সরকারের নির্দেশে উদ্যান বিভাগ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। এর জন্য গোলাপের পাপড়ির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মহাকুম্ভের সমস্ত স্নানপর্বে পুষ্পবৃষ্টির আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি স্নানপর্বে প্রায় ২০ কুইন্টাল গোলাপের পাপড়ি বর্ষণের প্রস্তুতি রয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় প্রথম স্নানপর্ব পৌষ পূর্ণিমা স্নান উপলক্ষে সোমবার ভক্তদের উপর গোলাপের পাপড়ি বর্ষিত হয়।
একদিকে যেখানে হেলিকপ্টার থেকে মহাকুম্ভে স্নান করতে আসা ভক্তদের উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হলো, অন্যদিকে এর মাধ্যমে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরও নজর রাখা হলো। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি মেলায় মোতায়েনের পাশাপাশি আকাশপথেও স্নানপর্ব উপলক্ষে নজর রাখে। পুলিশ এবং প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ব্যবস্থাপনার উপর নজর রাখেন।
উল্লেখ্য, ১২ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। কুম্ভেমেলার পৌরাণিক কাহিনি হল-কুম্ভকে কেন্দ্র করেই দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের সময় কুম্ভ থেকে চারটি ফোঁটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল। যার একটি ফোঁটা হয়েছিল প্রায়াগরাজে। বাকি তিন ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার, নাসিক আর উদ্দয়িনে। চারটি শহরই হিন্দুদের কাছে পুণ্য তীর্থ কেন্দ্র। বিশ্বের বৃহত্তম মেলা বলা যেতে পারে কুম্ভমেলাকে। প্রাচীন এই মেলা। এবার ৪০ কোটি মানুষ আসতে পারে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকে বেশি। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। তলবে ৪৫ দিন ধরে। এই মেগাইভেন্টের জন্য যোগী আদিত্যনাথ ৭০০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ থেকে উত্তরপ্রদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিসেব বলছে ৪০ কোটি দর্শনার্থী যদি প্রত্যেকেই ৫০০০ টাকা করে ব্যায় করে তাহলেই ২ লক্ষ কোটি টাকা আয় হতে পারে।