মহাকুম্ভ ২০২৫-এ বৃহস্পতিবার ভক্তরা পবিত্র স্নান সম্পন্ন করলেন। ভক্তরা প্রশাসন এবং সরকারের ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। উৎসাহের সাথে স্নান করে ধর্মীয় জয়ধ্বনি করলেন।
মহাকুম্ভ-২০২৫ এ বৃহস্পতিবার ত্রিবেণী সঙ্গম সহ সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘাট ভক্ত ও স্নানার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বুধবার প্রচন্ড ভিড়ের কারণে স্নান না করে বৃহস্পতিবার গুপ্ত নবরাত্রির প্রতিপদ তিথিতে স্নান করার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন অনেকে। স্নানের পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তরা মহাকুম্ভে স্থানীয় প্রশাসন এবং যোগী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, স্থানীয় মেলা প্রশাসন বসন্ত পঞ্চমী, মাঘ পূর্ণিমা এবং মহাশিবরাত্রির স্নান উপলক্ষে ভক্তদের প্রতি ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।
ধ্বনিত হলো জয়ধ্বনি
বৃহস্পতিবার স্নানরত স্নানার্থীদের মুখে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি ফুটে উঠলেও, তাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না। সঙ্গম নোজের পাশাপাশি ঝুঁসি ও আড়াইলের দিকে তৈরি কাঁচা ও পাকা স্নান ঘাটগুলিতেও বিশাল জনসমাগম দেখা গেছে। ভক্তদের উল্লাস-উদ্দীপনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে হর হর মহাদেব, জয় গঙ্গা মাইয়া, জয় শ্রী রাম সহ মোদী-যোগীর জয়ধ্বনিতে। সকল স্নানার্থীর একমত যে, বর্তমান মহাকুম্ভের এই ঐশ্বর্য ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অবদান। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সনাতন ধর্মের মূল্যবোধকে সম্মান করে যে শিখরে আরোহণ করেছে, তা অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শিতা এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগীর দক্ষ কার্যকরীকরণের ফলেই সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগের সময় দ্রুত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছেন।
স্নানে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার
নাগপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা মুকেশ ভগত জানান, আড়াইল দিক থেকে প্রয়াগরাজে প্রবেশের পর প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে তাঁদের কিল্লা ঘাটে পৌঁছাতে কষ্ট হলেও, পবিত্র জলধারায় স্নানের পর তাঁদের মধ্যে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। অন্যদিকে, সঙ্গম নোজে পানিপথ থেকে স্নান করতে আসা ঘনশ্যামের মতে, এটি তাঁদের জন্মান্তরের পুণ্যফল এবং পূর্বপুরুষদের সৎকর্মের ফল যে, এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়ার এবং পুণ্যস্নানের সুযোগ তাঁরা পেয়েছেন। রাজস্থানের সিকার থেকে আসা রামাবতার চৌধুরীরও একই মত। তিনি বলেন, গঙ্গার শীতল জল যখন শরীর স্পর্শ করেছে, মনে হয়েছে সমস্ত ক্লান্তি এবং বাধা মুহূর্তেই দূর হয়ে গেছে।
পায়ে ক্ষত বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি
বৃহস্পতিবার স্নানের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণেরও প্রচুর ভিড় জমে। অনেক ভক্ত দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তাদের পায়ে ক্ষত ও ফোসকা পড়েছিল, কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে স্নানের পর তাদের মুখে অপার আস্থা, শান্তি এবং অলৌকিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার ভাব ফুটে উঠেছিল।
