সংক্ষিপ্ত
মহাকুম্ভ নগর, ২০২৫। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে এবার ভক্তি এবং আনন্দের এক অপূর্ব মিলন দেখা গেল। গঙ্গার পবিত্র তীরে আয়োজিত এক জমকালো ফ্যাশন শো কেবল শিবভক্তদের মন জয় করেনি, বরং এটি দেখার পর লোকেরা ভগবান শিবের ভক্তিতে সম্পূর্ণরূপে মগ্ন হয়ে গেলেন। এই অনন্য ফ্যাশন শোতে ভগবান শিবের বিভিন্ন রূপের জাঁকজমকপূর্ণ উপস্থাপনা করা হয়েছিল, যা দেখে দর্শকরা অভিভূত হয়েছিলেন।
ভগবান শিবের সাত রূপের জমকালো ফ্যাশন শো
মহাকুম্ভ ২০২৫ এর সেক্টর ৯-এ দিব্য জ্যোতি জাগ্রতি সংস্থান কর্তৃক আয়োজিত এই ফ্যাশন শোতে ভগবান শিবের সাতটি ভিন্ন রূপ প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রতিটি রূপের সাথে তাদের অলঙ্কার, পোশাক এবং প্রতীকগুলি অত্যন্ত জমকালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। শোতে বিশেষভাবে দিল্লি থেকে মডেলরা এসেছিলেন, যারা শিবের রূপ ধারণ করেছিলেন।
সাধ্বী তপেশ্বরী ভারতী জানিয়েছেন, “এই ফ্যাশন শোর উদ্দেশ্য ছিল ভগবান শিবের সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক তথ্যগুলিকে উন্মোচন করা, যাতে তরুণ প্রজন্ম এই সব বিষয়ে অবগত হতে পারে।” শোতে ভগবান শিবের জটা, ত্রিশূল, বাঘম্বর পোশাকের মতো প্রতীকগুলির পেছনে লুকিয়ে থাকা গভীর বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
ভক্তির সাথে আনন্দের অপূর্ব মিলন
অনুষ্ঠানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘অন্তর্লিঙ্গ পূজন’ অধিবেশন, যেখানে যজুর্বেদীয় মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মানুষের আত্মার ঐশ্বর্যের উপর আলোকপাত করা হয়েছিল। এরপর ভগবান শিবের তাণ্ডব নৃত্যের ভঙ্গিমার উপর ভিত্তি করে অনন্য ব্যায়ামও উপস্থাপন করা হয়েছিল, যা দেখে সকল শিবভক্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছিল ঐশ্বরিক সুর এবং রক-সুরের এক অপূর্ব মিশ্রণের মাধ্যমে, যেখানে ভগবান শিবের বিভিন্ন নামের ভজনের তালে সকল ভক্ত নাচতে দেখা গেছে। এই উপস্থাপনা কেবলমাত্র শ্রদ্ধার প্রতীক ছিল না, বরং মহাকুম্ভের জমকালো আয়োজনে এক অপূর্ব রূপ বয়ে এনেছিল।
শিবভক্তদের জন্য এটি ছিল এক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা
মহাকুম্ভে এ ধরনের জমকালো এবং অনন্য ভক্তির রূপ দেখা সত্যিই অপূর্ব ছিল। ভগবান শিবের বিভিন্ন রূপ ধারণ করা মডেল এবং ভক্তির সাথে এই ফ্যাশন শো মহাকুম্ভের ভক্তদের এক নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এটি কেবল একটি ফ্যাশন শো ছিল না, বরং শিবের শক্তি, সংস্কৃতি এবং তাদের গভীর অর্থ বোঝার এক অদ্বিতীয় প্রয়াস ছিল।