বসন্ত পঞ্চমীর স্নানের জন্য কুম্ভনগরে স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুত। ৩৬০ শয্যার ২৩টি হাসপাতাল এবং মেডিকেল টিম প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের বিশেষ ধ্যান রাখা হচ্ছে।
বসন্ত পঞ্চমীর স্নান পর্বকে মাথায় রেখে মহাকুম্ভনগরে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে মেডিকেল ফোর্স মাঠে সক্রিয় হয়েছে। ৩৬০ শয্যার ২৩টি হাসপাতাল তীর্থযাত্রীদের দেখাশোনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম সমগ্র মেলা এলাকায় পরিদর্শন করেছে।
মেডিকেল ফোর্সের ফিল্ড পরিদর্শন
চিকিৎসা আধিকারিকরা মেলা এলাকা পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সুবিধাগুলি পর্যালোচনা করে স্থাপন নিশ্চিত করা হয়েছে। টিমে চিকিৎসা ব্যবস্থার নোডাল উমাকান্ত সান্যাল, কেন্দ্রীয় চিকিৎসালয়ের প্রধান চিকিৎসা অধীক্ষক ডাঃ মনোজ কৌশিক, সহ-নোডাল চিকিৎসা ব্যবস্থা ডাঃ রাম সিং এবং মহাকুম্ভ মেলার নোডাল চিকিৎসা স্থাপনা ডক্টর গৌরব দুবে উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুত প্রতিক্রিয়া, মিনিটেই চিকিৎসা
কেন্দ্রীয় হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। ছোটখাটো আঘাত থেকে শুরু করে গুরুতর চিকিৎসা পর্যন্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় সেবা এখানে প্রদান করা হচ্ছে। মহাকুম্ভ মেলার নোডাল চিকিৎসা স্থাপনা ডক্টর গৌরব দুবে জানিয়েছেন যে জরুরি কল পেলে মেডিকেল টিম মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি বিপরীত পরিস্থিতিতেও সম্পূর্ণরূপে কার্যকর।
সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রাধান্য
তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রাধান্য। ব্যাপক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত মেডিকেল ফোর্স তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এর মধ্যে ১০০ শয্যার একটি অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় হাসপাতাল, ২৫ শয্যার দুটি উপ-কেন্দ্রীয় হাসপাতাল, ২০ শয্যার আটটি সেক্টর হাসপাতাল এবং ২০ শয্যার দুটি সংক্রামক রোগ হাসপাতালও রয়েছে। এছাড়াও এক শয্যার ১০টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও সক্রিয় রয়েছে।
