সংক্ষিপ্ত
মহাকুম্ভে শঙ্কর মহাদেবন তাঁর সুরের মায়াজালে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। 'চলো কুম্ভ চলে' এর মতো গান দিয়ে তিনি ভক্তদের মন জয় করেছেন। গঙ্গা প্যান্ডেলে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক শিল্পী পরিবেশনা করবেন।
মহাকুম্ভনগর। মহাকুম্ভ ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং শৈল্পিক প্রকাশের এক অপূর্ব সমাবেশ। গঙ্গা প্যান্ডেলে সংস্কৃতি বিভাগের বিশেষ অনুষ্ঠান "সংস্কৃতির সঙ্গম"-এ বিখ্যাত গায়ক এবং সঙ্গীতশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন তাঁর গান দিয়ে গঙ্গা প্যান্ডেলকে ভক্তিময় করে তুলেছেন। কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে।
মহাকুম্ভের ভব্য আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন মহাকুম্ভের মতো পবিত্র আয়োজনের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি "চলো কুম্ভ চলে" গান পরিবেশন করে ভক্তদের ভক্তি-ভাবে সিক্ত করে তোলেন। এরপর তিনি গণেশ বন্দনা গেয়ে পুরো প্যান্ডেলকে মুখরিত করে তোলেন।
সঙ্গম তটে প্রতিধ্বনিত হবে সঙ্গীত এবং কলার ঐশ্বর্যময় ধারা
গঙ্গা প্যান্ডেলে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ভব্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিখ্যাত গায়ক, সঙ্গীতশিল্পী এবং নৃত্যশিল্পীরা তাদের পরিবেশনা দিয়ে ভক্তদের মুগ্ধ করবেন। মহাকুম্ভের এই অলৌকিক আয়োজনে কৈলাশ খের, কবিতা সেঠ, নিতিন মুকেশ, সুরেশ ওয়াড়কর, হরিহরণ, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি সহ অনেক বিখ্যাত শিল্পী তাদের পরিবেশনা পেশ করবেন।
আস্থা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মহাসঙ্গম
মহাকুম্ভের অপূর্ব রাত্রি দৃশ্য আস্থার আলোয় ঝলমল করছে, যেখানে লাখ লাখ ভক্ত সঙ্গমে স্নান করে আত্মশুদ্ধির অনুভূতি লাভ করেন। এই আয়োজন কেবল ভারতীয় সংস্কৃতির ঐশ্বর্যকেই প্রকাশ করে না, একতা এবং সদ্ভাবের বার্তাও বয়ে আনে। মহাকুম্ভ ভারতীয় কলা, সংস্কৃতি এবং অধ্যাত্মের এক বিশাল মঞ্চ, যেখানে লোকসঙ্গীত, শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং নাট্যকলা ভক্তদের ভক্তি এবং আস্থার অপূর্ব অনুভূতি প্রদান করবে। এই উপলক্ষে মহাপৌর গণেশ শঙ্কর কেসরওয়ানি, বিধায়ক পূজা পাল সহ জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।