সংক্ষিপ্ত
গোটা দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে ডিজ়িটাল লেনদেন।
তার থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না ইউনিফায়েড পেমেন্টস্ ইন্টারফেস বা ইউপিআই অ্যাকাউন্টের গ্রাহকরাও। কিন্তু টু ওয়ে অথেন্টিকেশন মেথড পেরিয়ে সাইবার অপরাধীরা আসছেন কীভাবে? তাদের হাতে পড়ে হতে হচ্ছে সর্বসান্ত। এই ইউপিআই (UPI) হ্যাকার হামলাকে বলা হচ্ছে ‘জাম্পড ডিপোজ়িট স্ক্যাম’।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু কীভাবে ‘জাম্পড ডিপোজ়িট স্ক্যামে’-র ফাঁদে পড়ছেন ইউপিআই ব্যবহারকারীরা? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তার জন্য একটি অভিনব রাস্তা অবলম্বন করছে এই হ্যাকারদের দল। প্রথমেই তারা একজন ইউপিআই ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছোট অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আর ঠিক দ্বিতীয় ধাপে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে আসছে একটি নোটিফিকেশন। এরপর সেখানে তাঁকে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে।
সেই নোটিফিকেশনে আবার ‘কালেক্ট মানি’বলে একটি অপশন থাকছে। ফলে, কোনওরকমের সন্দেহ না করে ইউপিআই ব্যবহারকারী নিজের পিন লিখে দিচ্ছেন সেখানে। আর সঙ্গে সঙ্গে সেটি সোজা চলে যাচ্ছে গ্রাহকদের হাতে। এরপর ওই পিনের সাহায্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট খালি করে অন্যত্র চম্পট দিচ্ছে হ্যাকারদের দল।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ অমা পড়ার পর একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ। বিষয়টি ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে নথিবদ্ধও করেছেন তারা। সেইসঙ্গে, প্রশাসনের তরফ থেকে গ্রাহকদের ইউপিআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
প্রথমত, কোনও নোটিফেকেশন এলে তা সঙ্গে সঙ্গে খোলা থেকে বিরত থাকতে বলেছে পুলিশ। অন্তত ১৫-৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তাছাড়া অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষা করার সময়, প্রথমে একটি ভুল পিন দিতে বলছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে ভুল নম্বর পাবে হ্যাকারদের দল। আর সেটি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে পারবেন না তারা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।