সংক্ষিপ্ত
- এখন থেকে আকাশে উড়বে গাড়ি
- রূপকথা নয় বাস্তবের এটা সম্ভব
- সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন দু'জন
- উড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছাল গাড়ি
দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে থাকার সময় অনেকেই মনে মনে ভাবেন 'আহা যদি গাড়িটার ডানা থাকত তাহলে উড়ে চলে যেতাম...'। এটা হলিউডের অ্যাকশন ছবি বা কোনও রূপকথার গল্পে সম্ভব হলেও বাস্তবের পৃথিবীতে গাড়ি আকাশে উড়বে একথা ভাবতে পারেন না অনেকেই। এবার এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন অধ্যাপক স্টিফান ক্লেইন ও তাঁর সহকারী অ্যান্টন জেজাক।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে প্রযুক্তি। রূপ কথার গল্পে বা সিনেমায় এডিটিংয়ের মাধ্যমে এতদিন যা সম্ভব হত এখন তাই বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। আর সেই প্রযুক্তির হাত ধরেই এবার পুরোদস্তুর চারচাকা গাড়ি উড়ল আকাশে। মাত্র ৩৫ মিনিটে স্লোভাকিয়ার এক শহর থেকে আরেক শহরে পৌঁছে গেল গাড়ি। নিত্রা আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে ব্রাতিসলাভা আন্তর্জাতিক বন্দরে পৌঁছায় গাড়িটি। এর নাম দেওয়া হয়েছে এয়ারকার। আর বিমানবন্দরে গাড়ি নামার পর শুধুমাত্র একটা বোতাম টিপতে হবে। তারপরই বিমান থেকে ধীরে ধীরে তা স্পোর্টস কারগুলির রূপ নিতে শুরু করবে। রূপ বদলানোর জন্য তার মাত্র ৩ মিনিট সময় প্রয়োজন। এরপরই তা চারচাকা বিশিষ্ট গাড়িতে পরিণত হবে। এটি যে আদতে বিমান তা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কেউই বুঝতে পারবেন না।
আরও পড়ুন- গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে মহাকাশে ভ্রমণ করতে চান, শীঘ্রই বুকিং করুন
এয়ারকারটি তৈরি করেন অধ্যাপক স্টিফান ক্লেইন ও তাঁর সহকারী অ্যান্টন জেজাক। পরিবহনকে একটা নতুন দিশা দেখাতে সাহায্য করবে এই গাড়ি। অ্যান্টন জেজাক বলেন, "কল্প বিজ্ঞানকে বাস্তবের রূপ দিয়েছে এয়ারকার।"
আরও পড়ুন- এশিয়ার দীর্ঘতম হাই স্পিড ট্র্যাক ভারতে, গাড়ির পরীক্ষার জন্য এখন যেতে হবে না বিদেশে
এয়ারকার প্রসঙ্গে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, "এটি এমনই একটি যান যা আকাশেও উড়তে পারে আবার মাটিতেও চলতে পারে। ডানা থেকে শুরু করে লেজ সবই রয়েছে। এটা অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং ও পেশাদার বুদ্ধির ফলাফল।"
এই গাড়িতে রয়েছে প্রপেলার। গাড়িটিতে আপাতত ১৬০ হর্সপাওয়ারযুক্ত বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এয়ারকারের প্রথম প্রোটোটাইপটি এখনও ৮২০০ ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ১৯০ কিমি উড়েছে। এই এয়ারকারে ২ জন বসতে পারবেন। ২০০ কেজি জিনিসও বহন করা যাবে। এয়ারকারের দ্বিতীয় প্রোটোটাইপটি নিয়ে এখনও কাজ চলছে। সেখানে ৩০০ হর্সপাওয়ারযুক্ত ইঞ্জিনের ব্যবহার করা হবে। এভাবেই প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলেছে পৃথিবী।