সংক্ষিপ্ত
মানুষের আবার চাঁদে পা রাখবে। কিন্তু তা দেখার জন্য গোটা বিশ্বকে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। ‘আর্টেমিস ২’ এবং ‘আর্টেমিস ৩’ মিশন কিছুটা দেরিতে হবে বলে জানিয়েছে নাসা। ওরিয়ন ক্যাপসুলে সমস্যার কারণেই এই বিলম্ব।
অ্যাপোলো যুগের পর প্রথম চন্দ্র অভিযান আর্টেমিস ২ পিছিয়ে দিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা। চারজন মহাকাশচারীকে চাঁদের চারপাশে ঘোরানোর এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আর্টেমিস ২ মিশনের জন্য ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে নাসা জানিয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আর্টেমিস ২ মিশন টিম পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল নাসার। মানুষকে আবার চাঁদে পাঠানোর জন্য ২০২৬ সালের শেষের দিকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আর্টেমিস ৩ মিশনের জন্য। কিন্তু এখন তা ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে হবে বলে নাসা জানিয়েছে।
আর্টেমিস মিশনের জন্য ব্যবহৃত ওরিয়ন মহাকাশযানের সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিলম্বের কারণেই আর্টেমিস ২ মিশন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 'ওরিয়ন ক্যাপসুল তার প্রথম ক্রুড ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত করতে আরও সময় প্রয়োজন। মহাকাশে মহাকাশচারীদের পাঠানো এবং পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য ওরিয়ন ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে নাসা এবং তার সহযোগীদের', নাসার তরফে বিল নেলসন এই কথা জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত দুটি মিশন সম্পন্ন করেছে ওরিয়ন। গত ২০২২ সালে চন্দ্রাভিযান পরীক্ষা আর্টেমিস ১ ছিল এর মধ্যে একটি। এছাড়া তার আগে ২০১৪ সালে ওরিয়ন প্রথমবার মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেটিও ছিল মানুষবিহীন।
এই মানুষবিহীন মিশনে পৃথিবীতে ফেরার সময় ওরিয়ন মহাকাশযানের হিট শিল্ডে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছিল। এই সমস্যা সম্পর্কে বিশদ গবেষণার ফলেই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মিশন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। আর্টেমিস ২ মিশনের চারজন মহাকাশচারীর সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই নাসা মিশনটি পিছিয়ে দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনের পর প্রথমবারের মতো নিম্ন পৃথিবী কক্ষপথের বাইরে মানুষ পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আর্টেমিস ২। মানুষ আবার চাঁদে পা রাখবে আর্টেমিস ৩ মিশনের মাধ্যমে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।