সংক্ষিপ্ত
সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশানাল সেন্টার ফর নিউরোমরফিক সিস্টেমের গবেষণকরা তৈরি করেছে। মস্তিষ্ক-অনুপ্রাণিত সুপারকম্পিউটার, ডিপসাউথ নামে পরিচিত মেশিনটি
এবার আর কল্পবিজ্ঞানের গল্প গল্প থাকবে না। সবই সত্যি হয়ে যাবে। কারণ এতদিন সায়েন্স ফিকশন ফিল্মে বা বইতে কম্পিউটারকে মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন হিসেবে দেখা যেত। এবার এই বিষয়টি বাস্তব হবে। এই ভবিষ্যৎ চিত্রগুলি এমন মেশিনগুলিকে প্রদর্শন করে যা মানুষের মনকে অনুসরণ করে। তবে এই বিষয়টি উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য পরিণিত ও নৈতিক প্রভাব সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলে দেয়। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার একটি সুপার কম্পিউটার সক্রিয় করা হতে পারে। তাতেই এতদিনের কাল্পনিক দৃশ্যটি বাস্তবে পরিণিত হতে পারে ২০২৪ সালের প্রথমেই। এই গ্রাউন্ডব্রেকিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ স্কেলে মানুষের মস্তিষ্কের সিন্যপ্সগুলিকে অনুকরণ করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে ন্যূনতম শক্তি খরচের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ তথ্য দক্ষতার সঙ্গে প্রক্রিয়া করে তারই রহস্য উদঘাটন করার লক্ষ্যে।
সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশানাল সেন্টার ফর নিউরোমরফিক সিস্টেমের গবেষণকরা তৈরি করেছে। মস্তিষ্ক-অনুপ্রাণিত সুপারকম্পিউটার, ডিপসাউথ নামে পরিচিত মেশিনটি, এর চিপগুলিতে স্পিকিং নিউরাল নেটওয়ার্কের গর্ব করে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, Intel এবং Dell-এর সঙ্গে শেয়ারে তৈরি করা। আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে আশ্চার্যজনক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য পরিচালনা করে তার গোপনীয়তাগুলিকে এই সুপার কম্পিউটার দ্বারা সামনে আনা যেতে পারে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির একটি বিজ্ঞপ্ত অনুসারে ডিপসাউথ একটি নিউরোমরফিরক সিস্টেম ব্যবহার করে। জৈবিক প্রক্রিয়াগুলিকে নকল করে, হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে। এই অত্যাধুনিক কম্পিউটার দক্ষতার সঙ্গে স্পাইকিং নিউরনের বৃহৎ নেটোয়ার্কগুলিকে প্রতি সেকেন্ড ২২৮ ট্রিলিয়ন সিনাপটিক অপারেশনে অনুকরণ করে, মানুষের মস্তষ্কে অপারেশনের আনুমানিক হারের সঙ্গেও সংঘর্ষ করতে পারে।
ডিপসাউথ অন্যান্য সুপারকম্পিউটার থেকে আলাদা - কারণ এটি উদ্দেশ্যে - নির্মিত নিউরনের নেটওয়ার্কের মত কাজ করার জন্য, কম শক্তির প্রয়োজন ও বৃহত্তর দক্ষতার সক্ষম করে। এটি আরও প্রথাগত কম্পিউটিং লোডের জন্য অপ্টিমাইজি করা সুপার কম্পিউটারহুলির সঙ্গে বৈপরীত্য। বলেছেন ICNS পরিচালক প্রফেসর আন্দ্রে ভ্যান শাইক।
অধ্যাপক আরও বলেছেন, মস্কিষ্ক কীভাবে নিউরন ব্যবহার করে গণনা করে সে সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া অনেকটা এগিয়েছে। মস্তিষ্কের স্কেলে মতো নেটওয়ার্কগুলিকে অনুকরণ করতে আমাদের অক্ষমতার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট ও মাল্টিকোর সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট ব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড কম্পিউটা স্পাইকিং নিউরাল নেটওয়ার্কের অনুকরণ করা খুব বেশি। ধীর ও শক্তিশালী। তাদের সিস্টেম এটি পরিবর্তন করবে। অধ্যাপক বলেছেন, 'এই প্ল্যাটফর্মটি মস্তিষ্ক সম্পর্কে আমাদের বোঝার উন্নতি করবে এবং সেন্সিং, বায়োমেডিকাল, রোবোটিক্স, স্পেস এবং বৃহৎ-স্কেল এআই অ্যাপ্লিকেশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক-স্কেল কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশন বিকাশ করবে।'