ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান। পূর্ব এশিয়ার এই দেশে ভূমিকম্প নিত্য ঘটনা। জাপানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভূমিকম্পের জন্য সবসময় তৈরি থাকেন।
জাপান এমন একটি দেশ, যেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। বুধবারও তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার বিকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার আর ফালাকাটা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ২.৮।
ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টারের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলিতে ১০ কিলোমিটার গভীরে। সকাল ৬.০৮ মিনিটে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৪.৫।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনেই জাপানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, হিমালয় অঞ্চলে 'যেকোনও সময়ে' একটি বিরাট বড় ভূমিকম্প আঘাত হানবে, কারণ, ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ তৈরি হবে।
নেপাল বরবরই ভূমিকম্প-প্রবণ। হিমালয়ের কোলের এই দেশে ভূমিকম্প হলে তার আঁচ পাওয়া যায় কলকাতাতেও। শুক্রবার রাতেও এর ব্যতিক্রম হল না। ভূমিকম্প টের পেল এই শহর।
ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে এখন ভারতে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাঁদের মন পড়ে আছে দেশে। তীব্র ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে চিন্তায় রশিদ খানরা।
আফগানের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো। এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশুরাও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের সবথেকে বড় শহর হেরাত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।