লোকসভা নির্বাচনের আগে থাকতেই কুণাল ঘোষকে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার এই অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিল দলীয় নেতৃত্ব।
কুণাল বলেন, 'আমি আর তাপস রায় একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তাপসদাতে অনেক বুঝিয়েছি। তাপসদার সঙ্গে আমার দাদা-ভাইয়ের মত সম্পর্ক। ব্রাত্যও বুঝিয়েছে।
সুব্রত বক্সী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভাপতি। তৃণমূল সূত্রের খবর রবিবারই কুণালকে শো-কজ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপস রায় ইস্যুতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যস্ত ছিলেন।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই তৃণমূল নেতাই এবার পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়েই অজস্র দাবি তুললেন তিনি। তবে শুধু মুখের কথা নয় রীতিমত পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তিনি।
প্রথমত, রাম রাজ্যে কেন সীতার পাতাল প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। দ্বিতীয়ত, রাজনীতিতে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
সূত্রপাতটা হয়েছিল ৫ নভেম্বর। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি শোকবার্তা জানিয়েছিলেন বিরোধীদলের নেতারাও। গতকাল তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের বহু নেতা।