সংক্ষিপ্ত


বিশ্বের ১৮৪টি দেশ নরকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে
করোনাভাইরাস নিয়ে আবারও ডোলান্ড ট্রাম্পের তোপ
নিশানায় সেই চিন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজার 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে চিন। আর সেই কারণেই বিশ্বের ১৮৪টি দেশ আজ নরকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানায় চিন। এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনে চিনের ঘাড়ে যে আরও কড়া শাস্তি নেমে আসতে চলেছে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন বেশ কয়েকজন মার্কিন সাংসদ চাইছেন বেজিং-এর ওপর অত্যাধিক নির্ভরতা কমাতে। ভারী শিল্পের পাশাপাশি খনিজ শিল্পেও বেজিং-এর ওপর ভরসা রাখতে চাইছেনা আমেরিকা। ট্রাম্প তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

এটাই প্রথম নয়। করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রথম থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আসছিলেন।  করোনাভাইরাসকে অদৃশ্য শক্রু বলে চিহ্নত করে ছিলেন তিনি। বলেছিলেন এই অদৃশ্য শত্রু ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ি চিন। ইতিমধ্যেই জার্মানি করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য তাদের দেশের প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে। আর চিনের কাছ থেকে ১৪০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা হিসেবে দাবিও করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন আমেরিকারও প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতিও পুরণ করে দিতে হবে চিনকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ইংল্যন্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশই করোনা মহামারীর জন্য চিনকেই দায়ি করেছে। বেশ কয়েকটি দেশের অভিযোগ চিন যদি সময় মত প্রতিটি দেশকে উপযুক্ত তথ্য সরবরাহ করত তাহলে এই মহামারী এড়ান যেত। কিন্তু চিন তা করেনি বলেও অভিযোগ। 

আরও পড়ুনঃ বাড়িতেই থাকতে পারবেন করোনা-আক্রান্তরা, চোখ রাখুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইড লাইনে ...

আরও পড়ুনঃ হাইড্রোক্লোক্সিসকুইনিন নিয়ে কি এখনও গোঁসা ট্রাম্পের, মোদীকে আনফলো করল হোয়াইট হাউস ...

আরও পড়ুনঃ সেম্পেম্বর মাস থেকেই তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক, জল্পনা দানা বাঁধছে বিল গেটসের মন্তব্যে ...

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কারণে ৩১ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২১৮১৭৭ লক্ষ মানুষের। তবে এই মহামারীর প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে নিউয়র্কসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজারেরও বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বেজিং-এর ওপর নির্ভরতা কমাতে দাবিতে সরব হয়েছেন। সেইমত আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।