সংক্ষিপ্ত

  • সুইডেনের ১৬ বছরের কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ
  • গত বথছর অগাস্টে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে স্কুল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল
  • তারপর থেকে আজ সারা বিশ্বের সামনে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে সে
  • আপাতত গ্রেটার নাম বিবেচিত হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য

গ্রেটা থানবার্গের বয়স তাঁর মাত্র ১৬। কিন্তু সুইডিশ এই কিশোরীই আজ সারা বিশ্বের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যথেচ্ছভাবে পরিবেশ ধ্বংস করার ফলে আজ যে বিশ্ব উষ্ণায়ন দেখা দিয়েছে, তার প্রভাবেই ব্যাপকভাবে বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। এই নিয়ে বিশ্বের কোনও রাষ্ট্রনেতারই কোনও হেলদোল নেই। এর বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছেন গ্রেটা। আর তাঁর অনুপ্রেরণাতেই গত শুক্রবার থেকে সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মানুষ রাস্তায় নামছেন এখনই এই জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে। আর গ্রেটার নাম বিবেচিত হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য।

গ্রেটার লড়াই শুরু হয়েছিল গত বছর অগাস্ট মাসে। সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তিনি 'জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট' করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপই সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের স্কুল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বড়রাও গ্রেটার সঙ্গে পা মিলিয়েছেন। বিশ্বব্যপী এক আন্দোলনের রূপ পেয়েছে গ্রেটার উদ্য়োগ।

বর্তমানে আমেরিকার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক চলছে। সেখানে বিশ্বের তাবড় নেতাদের জলবায়ু নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা পৌঁছে দিতে একেবারে প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলি থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা ইউরোপ হয়ে আমেরিকা-লাতিন আমেরিকা পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এমনকি কলকাতার বুকেও গ্রেটার দাবি নিয়ে ধর্মঘট পালন হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে 'গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক'।  

শুক্রবার নিউইয়র্কের বুকে হয় এই ধর্মঘটের সমর্থনে মূল মিছিলটি, যার নেতৃত্ব দিয়েছে গ্রেটা নিজে। সুইডেন থেকে তিনি আমেরিকায় সে বিমানে বা প্রমোদ তরনীতে চড়ে আসতে চায়নি। কারণ, এই যানবাহনগুলিতে পরিবেশ দূষিত হয়। বদলে সে একটি নৌকা চড়ে এসেছে। সারা বিশ্বে তাঁর আন্দোলন ছডি়য়ে পজড়ায় সে খুশি, কিন্তু যতক্ষণ না প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হচ্ছে ততক্ষণ সে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। কারম সে বলছে এটা একটা জরুরি অবস্থার মতো। ঘরে আগুন লেগে গিয়েছে। কাজেই আলোচনা নয় এখন কাজের প্রয়োজন।

সে আরও জানিয়েছে, যে দেশেই সে গিয়েছে, সব জায়গা থেকেই একই ধরণের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, একই ধরণের মিথ্যে ভাষণ শুনেছে, একই ধরণের নিষ্ক্রিয়তার মুখোমুখি হয়েছে। তাই এইবার যখন সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে, তখন সে আশা করছে এইবার অন্তত রাষ্ট্রনেতারা তাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। গ্রেটা বলছে, এটাই সাধারণ মানুষের শক্তি। আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখার জন্য ডাকা হয়েছে গ্রেটাকে। তবে তার আগেই সে জানিয়ে দিয়েছে ডেকে পাঠিয়ে তাদের আন্দোলন অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে গোছের ছোঁদো কথায় ভোলালে চলবে না, কাজে করে দেখাতে হবে। কারণ কেউ বিশ্বাস করুন বা না করুন পরিবর্তন আসছেই।