সংক্ষিপ্ত
- মার্কিন মুলুকে চিনের আগ্রাসী নীতির প্রতিবাদ
- সোচ্চার হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান
- পাশে দাঁড়াল তিব্বত, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের নাগরিকরা
- মার্কিন সরকারের সদর দফতরের কাছেই হল তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন
চিনা আগ্রাসনের ফল ভোগ করতে হচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশকে। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে সেই আগ্রাসেনর স্বাক্ষী থেকেছে ভারত। ভারতের মতোই তাইওয়ান, তিব্বত এবং ভিয়েতনামবাসীও বেজিংয়ের সাম্রাজ্যবাদী রূপ দেখেছে। এবার তাই মার্কিন মুলুকে জোট বেঁধে চিনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রতিবাদ দেখালেন এই চারদেশের নাগরিকরা।
মার্কিন রাজধানী ওয়াংশিটন ডিসির ক্যাপিটাল হিল এলাকায় চিনের বিরুদ্ধে চলে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই অঞ্চলেই রয়েছে মার্কিন সরকারের একাধিক দফতর। আর সেখানেই ৪ দেশের নাগরিকরা চিনের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং কমিউনিস্ট পার্টি বিরোধী স্লোগান দেয়।
চিনের কমিউনিজমকে বারবার নিশানা করে এসেছে পুঁজিবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লাগাতার বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। মার্কিন মুলুকে আয়োজিত এই বিক্ষোভে চিনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন প্রতিবাদকারীরা। প্রতিবেশী দেশগুলির সীমানা অতিক্রম করার পাশাপাশি নিজের দেশে বেজিং মানুষের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা দমন করছে বলেও স্লোগান তোলেন ভারত সহ চার দেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাহিনীর জন্য একাধিক বিধিনিষেধ, রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত মাত্র ৯০
চিন অনৈতিক ভাবে তিব্বত দখলের পর বাস্তচ্যুত হয়ে ভিনদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বহু সংখ্যাক তিব্বতবাসী। ভারতও বহু সংখ্যক তিব্বতীকে এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তিব্বতীদের ধর্মগুরুর দলাইলামাও চিনের আগ্রাসেনর প্রতিবাদে বারবার সোচ্চার হয়েছেন। একই ভাবে তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও চিনের আগ্রাসন দেখেছে। তাই লাদাখ ইস্যুতে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন তিব্বতীদের পাশাপাশি তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বাসিন্দারা।